Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বসুরহাট পৌরসভা অবরুদ্ধ, এডিশনাল এসপি ও ওসির নির্দেশে তান্ডব চলছে - কাদের মির্জা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ৮:৫৮ পিএম

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের হাতে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী গুলিবিদ্ধ ও আরেক আ.লীগ নেতা হামলার শিকার হওয়ার ৮ ঘন্টা পর এবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন কাদের মির্জা। ওই স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন, বসুরহাট পৌরসভা অবরুদ্ধ, এডিশনাল এসপি শামীম এবং ওসির নির্দেশে তান্ডব চলছে বসুরহাট পৌরসভায়।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কাদের মির্জা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন।

কাদের মির্জার স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো, আমার পৌরসভার অফিস সহকারীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। আমার বাড়ি থেকে ইফতার পর্যন্ত আনতে দিচ্ছে না। তারা আমার ছেলেকে মারল একটি ভিডিও ভাইরাল হল। কিন্তু কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। উল্টো আমার লোকদের গ্রেফতার করছে তারা। এই অবিচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আবদুল কাদের মির্জা, মেয়র বসুরহাট পৌরসভা।

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীকে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং দুই পায়ে গুলি করে দেয়। দুপুর ১২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে উপজেলা আ.লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুজ্জামানের ওপর হামলা চালায় মির্জা কাদেরের অনুসারীরা। পরে এ ঘটনায় বিকেলের দিকে ৪জনকে আটক করে পুলিশ।

অপরদিকে, সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঘটনার দেড় ঘন্টা পর উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দ ফেসবুক লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন। পৌর মেয়র কাদের মির্জার নির্দেশে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ করেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ। ফেসবুক লাইভে উপজেলা আ.লীগের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো.মিজানুর রহমান বাদল।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আজম পালা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা আ.লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাদের মির্জা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ