পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে করোনা মহামারিতে যে হারে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, ফের এক বার হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলল। এ বার দৈনিক নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যু আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেল।
গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ জন। বৃহস্পতিবার থেকে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ২ লাখের উপরেই রয়েছে। কিন্তু গত দেড় বছরে এক দিনে এত জন মানুষের সংক্রমিত হওয়ার রেকর্ড নেই। সংক্রমণে এই রেকর্ড বৃদ্ধির জেরেই দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ১০৯ হয়েছে।
অন্য দিকে, গত ৯ মার্চই দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃতের সংখ্যা কমে ৭৭-এ নেমে এসেছিল। কিন্তু তার পর দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দৈনিক মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১ হাজার ৫০১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। করোনার প্রকোপে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে শনিবারই প্রতিষেধকের উৎপাদন বাড়িয়ে টিকাকরণে জোর দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিষেধকের জোগানে ঘাটতি নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে একাধিক রাজ্য। তার মধ্যেও প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ভারতের ১২ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ৫৯০ জন নাগরিক কোভিড-১৯ প্রতিরোধী প্রতিষেধক পেয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতিষেধক পেয়েছেন ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৯ জন নাগরিক।
সংক্রমণের নিরিখে গোটা বিশ্বে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই স্থান ভারতের। ব্রাজিল নেমে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে। মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বতালিকায় চতুর্থ তালিকায় রয়েছে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ও টিকাকরণ না বাড়ালে সংক্রমণ ঠেকানো অসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে বলে মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু টিকাকরণের শ্লথ গতি, ওষুধ, অক্সিজেন এবং প্রতিষেধকে ঘাটতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে একাধিক রাজ্য।
করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রেই। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত বলে তাকে জানানো হয়। সেই নিয়ে প্রকাশ্যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন উদ্ধব। এ দিকে মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ একলাফে বেড়ে ৬৭ হাজার ১২৩ হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৪১৯ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ছত্তীসগড়ে মারা গিয়েছেন ১৫৮ জন করোনা রোগী। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, কর্নাটকেও যথাক্রমে ১২০, ৯৭ এবং ৮০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও পঞ্জাবে যথাক্রমে ৬৬ ও ৬২ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।