রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায়। একাধিক সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদী ও জমির গভীর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক বালু উত্তোলন করছে তারা। করোনাকালীন সময় অফিস আদালত বন্ধ থাকায় এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন প্রশাসন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের যোতিন্দ্র নারায়ণ এলাকার গুয়াবাড়ী ঘাটে নবনির্মিত একটি সেতু রয়েছে। সেখানে মাত্র দুইশ গজ দূরে বারোমাসিয়া নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু তোলা হচ্ছে। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সেতুটি। একই অবস্থা রয়েছে কুলাঘাট শেখ হাসিনা ধরলা সেতু। এ সেতুর দক্ষিণে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বালু দস্যুরা। এছাড়াও উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল, চর গোরকমন্ডল, কৃষ্ণানন্দ বকসি, পশ্চিম ফুলমতি কলাবাগান ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চর শিমুলবাড়ী, সোনাইকাজী, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা, শাহবাজার, বজরের খামার, বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার কালিরহাট, টনকার মোড়, কামালপুর, প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ ড্রেজার মেশিনে দিনরাত ভূ-গর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছেন।
এদিকে, বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি, পুর্ব ধনিরাম, পশ্চিম ধনিরাম ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের বোয়ালভীড়, রামরামসেন, উত্তর রাবাইতাড়ী ও কাশিপুর ইউনিয়নের কলেজমোড়, অনন্তপুর, মধ্য অনন্তপুর, অনন্তপুর বালাবাড়ী, ঘুঘুরহাট, বেড়াকুটি এলাকায় একইভাবে ড্রেজার মেশিনে দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলনকৃত বালু যাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের রাস্তায়, বাংলাদেশ পানিউন্নয়ন বোর্ড ধরলার তীর রক্ষা জিও ব্যাগে ও সড়ক এবং জনপথ বিভাগের রাস্তায়। এছাড়াও অনেকের পুকুর ভরাট, বসতবাড়ী উঁচুকরণ ও ঘর নির্মাণে। প্রতিদিন তারা বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি, সেতু ও বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। এতে নদীর তীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক মিলন জানান, ভূমিকম্পপ্রবণ রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় অধিকহারে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের কারণে মাটির নিচে বালুর স্তর শুন্য হয়ে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে বাসাবাড়ি, ব্রিজ, সেতুসহ সরকারি স্থাপনা মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এগুলো বন্ধ হওয়ার জরুরি প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুর রহমান জানান, কয়েক মাসে আগে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ৪/৫টি মামলা করা হয়েছে। দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য ইউনিয়ন সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।