বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রমজান উপলক্ষে প্রতি বছরই বাড়ে সবজির দাম। তবে এবার তার সঙ্গে দেশব্যাপী লকডাউন হওয়ায় বাজারে এখন বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। করোনার কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সর্ববৃহৎ নিমসার সবজির বাজার গত শুক্রবার সকালে ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের আগের দিনে সবজির যা দাম ছিল, লকডাউনের দুই দিন পেরোতেই সরবরাহ কমের অজুহাতে তা দ্বিগুণ বেড়েছে।
বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। নিমসার বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা দৈনিক ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে অনেক সবজি পৌঁছাতে পারছে না। ফলে দাম বেড়েছে। তবে বাজারে দাম বাড়লেও বাজারে কোনো সবজির কমতি নেই। আলু, পটল, করলা, টমেটো, শিম, লাউ, কাঁচা-পাকা মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, বেগুন, মুলা, লাল শাক, পালং শাক, লাউ শাক সব কিছুই বাজারে ভরপুর।
সবজি কিনতে আসা ভ্যানচালক বশির উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, লকডাউনের কারণে তেমন রোজগার নেই। এদিকে আজকে বাজার করতে এসে দেখি সব সবজির দাম বেড়েছে। আমরা গরিব মানুষ দিন খাটি দিন খাই। এভাবে সবজির দাম বাড়লে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে বাঁচব। তাসলিমা বেগম নামের একজন গৃহিনী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। হঠাৎ এত দাম বাড়লে, আমরা সাধারণ মানুষ কিভাবে চলবো? জেলা প্রশাসনের কাছে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানাচ্ছি।
বাদশা মিয়া বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, লকডাউনে সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বেশি বলতে হচ্ছে। পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, লকডাউনের কারণে বাজারে সবজির সরবারহ কম। আর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে। আমরা বাহিরের বাজার থেকে বেশি দামে কিনছি, বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করছি। এছাড়াও গাড়ি ভাড়া বেশি পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে দাম বেড়ে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ১৫০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১২০ টাকা, সাদা/সবুজ বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতিকেজি শসা ১০০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা এবং আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে বেড়েছে টমেটো, শসা এবং বেগুনের দাম। কুমিল্লার সর্ববৃহৎ খুচরা রাজগঞ্জ বাজারের বিক্রেতা কামরুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে কয়েকটি সবজির দাম। সরবরাহ কম থাকায় এ অবস্থা। নিমসার বাজারেও প্রতিটি সবজির দাম বেশি। তিনি বলেন, পাইকারিতে নিমসার বাজারে প্রতি পাল্লায় সবজির দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে আমাদেরও বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সবজির এমন দামে ক্রেতাদের মধ্যেও কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছে। বাজার করতে আসা আলমগীর হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সবজির কোনো কমতি নেই। বাজারে লকডাউনের কোনো প্রভাবও নেই। সেই হিসেবে সব সবজিরই দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব কিছুরই দাম বেড়ে গেছে। কোনো রকম অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।