পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রাজধানীর বাজারগুলোতে শাক-সবজির দামে এক রকম আগুন লেগেছে। কয়েকটি সবজি বাদে প্রায় সব শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকার উপরে। বাজারে এসে দাম শুনে অবাক হতে হয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে শাকসবজির এমন উচ্চ দামে বিক্রেতাদের মাঝেও নেই খুশি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যে নেই স্বস্তি। বাজারে এসে যেন তারা একরকম হতাশ। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ে তাদের মাঝে তেমন কোনও উদ্বেগ না থাকলেও শাকসবজি কিনতে এসে হতাশ তারা। দাম শুনে যেন মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যাচ্ছে। কি কিনবেন আর না কিনবেন তা নিয়ে যেন দিশেহারা ক্রেতারা।
শান্তিনগর বাজারের ক্রেতা রহিমা আফরোজ বলেন, বাজারে প্রায় সব শাকসবজির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার উপরে। একটা লাউয়ের দাম ৭০ টাকা। যে লিস্ট নিয়ে বাজার করতে এসেছিলাম তা হয়তো আর কেনা হবে না। সবজি বিক্রেতা সোহেল বলেন, দাম শুনলেই ক্রেতাদের মুখটা যেন মলিন হয়ে যায়। তাদের এই মলিন চেহারাটা দেখতে আমাদেরও কষ্ট হয়। দাম বেশি হওয়ায় কোন সবজি এক কেজি কেনার টার্গেট থাকলে তা আধা কেজি কিনেন ক্রেতারা।
কাওরান বাজারে রমজানের বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারের সব সবজির দাম চড়া। ভালো কোন মাছ কিনতে গেলে ৩০০ থেকে হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। দাম এভাবে বাড়তে থাকলে পরিবার নিয়ে ঢাকা শহরে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুলা, শশা, পটল, টমেটো আর পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বেগুন বরবটি চিচিঙ্গা কাঁকরোল শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন। আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। দীর্ঘদিন থেকে সেই একই দামে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
এদিকে প্রকারভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের মত ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা ডজন। ফার্মের মুরগি ১৮০ থেকে ১৫০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি ২১০ টাকা। এবং পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া বাজার ভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৩০-৫৫০ টাকা কেজি। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকায়। মাংসের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজিতে। পাঙাশ ১৫০-১৮০, রুই ২৫০-৪৫০, পাবদা ও টেংরা ৭০০-৮০০, শিং ৫০০-৬০০ এবং চিতল বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৭০০ টাকা কেজি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।