Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আগাম সবজির বাজার চড়া

রেজাউল করিম রাজু : | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

এখনো শীত না এলেও বাজার ভরা আগাম লাগানো শাক-সবজিতে। ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, মুলা, বরবটি, টমেটো, লাউ, কুমড়ায় বাজার ভরা। তবে সব কিছুর দাম চড়া। নাগালের বাইরে সাধারণ ভোক্তাদের। আবার বেশি দাম হলেও দুপুরের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক বছর কিছু লাভের আশায় চাষি শীতকালীন আগাম জাতের শাক-সবজি আবাদ করে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি।
তাছাড়া এবার বরেন্দ্র অঞ্চলে বানের পানি হানা দিতে পারেনি। ফলে আবহাওয়া ছিল সবজি চাষের অনুকূলে। ফলে এবার আগাম লাগানো এসব ফসলের ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারেও সরবরাহ বেড়েছে। পাইকাররা মাঠে মাঠে গিয়ে শাক-সবজি কিনছেন। আবাদকারীরা প্রত্যাশিত দাম না পেলেও মধ্যসত্ব ভোগীরা লাভের গুড় পিঁপড় খাওয়ার মত খেয়ে নিচ্ছে। ফলে এসব শীতকালীন সবজির দাম থাকছে চড়া। সরেজমিন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপি, বাধাকপি প্রতিকেজি ৩০ টাকার মধ্যে। পাইকাররা কিনলেও তা হাত বদল হয়ে শহরে বাজারে এসে হয়ে যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কেন এত দামের ফারাক তার জবাব নেবার বা দেখার কেউ নেই। দামের কারণে এখনো স্বাদ নিতে পারছে না সাধারণ ক্রেতা। শীতকালীন শাক-সবজি আবাদ শুরু হয়েছে মাঠে মাঠে। এসব ফসল উঠলে মাস দুয়েক পরে তা সাধারণ ভোক্তাদের নাগালে আসবে।
রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী এলাকার শাক-সবজি মাঠ থেকে প্রথমে আসে খড়খড়ি বাজারে। সেখান থেকে নগরীর বড় কাঁচামালের বাজার মাষ্টারপাড়ায়। এছাড়াও যায় অন্য বাজারে। ভ্যান গাড়িতে তরকারি ফেরিওয়ালারা এখান থেকে কিনে মহল্লায় মহল্লায় বিক্রি করে। সাহেব বাজারে আসে অপেক্ষাকৃত বাছাই করা পণ্য। এখানে দাম আরও বেশি।
মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণের সময় দেখা যায়, আমন ধানের বিস্তীর্ন ক্ষেতের পাশাপাশি শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ চলছে। আলু লাগানো হচ্ছে। ক’দিন আগে পুরাতন আলু কোল্ডস্টোরেজ খালি করে বিক্রি হয়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করে সেই আলু উঠে গেছে ২০ টাকার উপরে। আগাম পেঁয়াজ যা ঢেমনা পেঁয়াজ নামে পরিচিত। সেটির আবাদ হচ্ছে। পালং শাক, লাল শাক, সবুজ শাকের লাল-সবুজের বিছানা নজর এড়ায় না।
এবার বরেন্দ্র অঞ্চলের চার জেলা রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে। সেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৪ লাখ টন। এমন তথ্য জানায় কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র জানায়, এবার জেলায় রবি শষ্যের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে। আবাদ হবে ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে উঁচু এলাকার আবাদ করা আগাম শাক-সবজি এখন বাজারে। শাক-সবজির দাম নিয়ে নগরীর পাইকারি বাজার মাস্টারপাড়ায় ব্যবসায়ী তপন মিয়া বলেন, এখন যে দাম শুরু হয়েছে তা আর কমবে না। কারণ হিসাবে জানায় মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজার সদাই করেন চাকরিজীবীরা। তাদের বেতন হয় মাসের শুরুতেই। তার একটু বেশি কেনাকাটা করেন। ফলে চাহিদার সাথে বাড়ে দাম। মাঝামাঝি সময় থেকে কমতে থাকে। পুরো দমে সরবরাহ না হওয়া পর্যন্ত বাজারে উত্তাপ থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সবজির বাজার চড়া

১ নভেম্বর, ২০২১
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ