মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপের দেশগুলোতে আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা। এ বিষয়ে সতর্ক করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক ড. হ্যানস ক্লুগ জানান, বর্তমানে মহাদেশটিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব তথ্য প্রদান করেন তিনি।
ক্লুগ বলেন, ইউরোপে করোনা পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ। মহাদেশটিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন। এখনো প্রতি সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ১৬ লাখ মানুষ।
তিনি আরো জানান, শুধুমাত্র ৮০ বছরের ওপরের বয়সের মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণের হার কমছে। তবে ভ্যাকসিন কাজ করছে এমন আভাসও পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে আছে ফ্রান্স। এরইমধ্যে এক বছর আগেকার অবস্থায় পৌঁছে গেছে দেশটি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, প্রতি ১০ লাখে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্তের হিসেবে প্রথম ১০ দেশের ৭টিই ইউরোপের।
এর আগে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণ শুরুর পর দ্বিতীয় হটস্পট হয়ে উঠেছিল ইউরোপ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় অঞ্চলটির বেশিরভাগ দেশই লকডাউন তুলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা তীব্র আকার ধারণ করছে; বিশেষ করে স্পেন এবং ফ্রান্সে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুজ বলেছেন, অঞ্চলটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকা আসন্ন ভয়াবহতার সংকেত দিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপের অর্ধেকের বেশি দেশেই গত দুই সপ্তাহে ১০ শতাংশ নতুন রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সাতটি দেশে নতুন সংক্রমণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
হান্স ক্লুজ সতর্ক করে বলেন, তরুণদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা বয়স্ক ব্যক্তিদেরও ঝুঁকিতে ফেলছে। এ পরিস্থিতিতে বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ তাদের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে নতুন করে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন জারি করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫৫টি দেশের ওপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত এপ্রিলের তুলনায় বর্তমানে করোনার বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আগামী অক্টোবর এবং নভেম্বরে ইউরোপে আশঙ্কাজনকহারে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন হান্স ক্লুজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।