পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার লকডাউনের নামে বিরোধীদল দমনে ক্র্যাকডাউনে নেমেছে। লকডাউনকে কেন্দ্র করে তারা (সরকার) সমস্ত বিরোধীদলের নেতাকর্মী, আমাদের দলের নেতাকর্মী, অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ বিরোধীদলের বাড়িতে হামলা করছে। সারাদেশে দলের নেতাকর্মীরা কেউ বাড়িতে থাকতে পারছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। তিনি অবিলম্বে নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়েছেন। ফখরুল বলেন, সরকার একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি এবং গণতান্ত্রিক স্পেস তৈরি করুক। অন্যথায় এর খেসারত সরকারকে অবশ্যই দিতে হবে। জনগণের কাছে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রহ্মণবাড়ীয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সংগঠনের বিরুদ্ধে হয়রানি, রাতে গ্রেফতার অভিযান তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা যে হিসাব পেয়েছি তাতে বিএনপির ১৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাবনায় একজন গ্রেফতার হওয়ার পরে তার মৃত্যু হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ছাত্রদলের ৮১, যুবদলের ৩০ এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের ১১ জন গ্রেফতার হয়েছেন। আগে গ্রেফতার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু গতকাল জামিনে মুক্ত হলেও জেলগেট থেকে ফের গ্রেফতার করে আবার পুলিশ নতুন করে মামলা দিয়েছে। দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকেও একইভাবে নতুন করে আরেকটি মামলায় জড়িত করে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যে অবস্থাটা তৈরি হয়েছে এটাকে হালকা করে দেখার অবকাশ নেই। আমরা যেটা দেখছি যে, আওয়ামী লীগের যেহেতু গণভিত্তি নেই এজন্য অত্যাচার-নির্যাতন-গ্রেফতার-হত্যার মধ্য দিয়েই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। সে কারণে পবিত্র রমজান মাসেও তারা এই ধরনের হীন কাজের সঙ্গে লিপ্ত হয়েছে। তাদের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রটা হচ্ছে- তারা যে করেই হোক গ্রেফতার-হত্যা-গুম-নির্যাতনের মধ্যদিয়ে বিরোধীদলের সংবিধান সম্মত অধিকার, মত প্রকাশ, কথা বলা, লেখার স্বাধীনতা দমন করতে চাইছে। আর এভাবেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থার তারা যে স্বপ্ন দেখেছিলো অতীতে সেটাকে বাস্তবায়িত করতে চায়। সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
সরকার হেফাজত ইসলামকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে কি বিএনপির ওপর নির্যাতন বাড়াচ্ছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে একটা কর্তৃত্ববাদী এক দলীয় সরকারকে পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যে তারা শুধু বিএনপি নয়, শুধু বাম জোট নয় বা অন্যান্য দলগুলো নয় বা ইসলামী দলগুলো নয় বা হেফাজত নয়। সকলের উপরে নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছেন যাতে করে কোনো বিরোধী কন্ঠ উচ্চারিত না হয়। ভিন্ন মত না আসে এটাই হচ্ছে তাদের প্রধান লক্ষ্য। পুরোপুরিভাবে একটা কর্তৃত্ববাদী, একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করা এটাই হচ্ছে এই সরকারের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জনগণ যে স্বপ্ন নিয়ে, আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে এদেশে যুদ্ধ করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্টে জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে, সেই জাতি সেই দেশের জনগণ কখনোই এই ধরনের কর্তৃত্বাবাদী, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসনব্যবস্থা মেনে নেবে না। অবশ্যই দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই কর্তৃত্ববাদী নির্যাতনকারী সরকার তাকে সরাতে বাধ্য করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।