যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
আজকাল ছোট-বড় সবারই পেট জ্বালাপোড়া বা গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যার কথা শোনা যায়। গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা যে কত যন্ত্রণাদায়ক তা কেবল যাঁরা ভোগেন তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, ডাক্তার দেখাচ্ছেন। একটু ভাজা পোড়া অথবা ইফতার পার্টিতে মশলাযুক্ত খাবার বা ফাস্টফুড খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি। আর তাই, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাষ্ট্রিক, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খেজুরের পুষ্টিগুণ- সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদন সম্পর্কে বলা হয়- চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১.৩ মি গ্রাম ক্যালশিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, ভিটামিন বি ৬ যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। আপনি জেনে খুশি হবেন যে প্রতিদিন মাত্র তিনটি খেজুর আপনার গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা দূর করবে।
প্রতিদিন তিনটি খেজুর খান এক সপ্তাহ। তবে এক সপ্তাহ খাওয়ার পর খেজুর খাওয়া বন্ধ করবেন না। এটা অভ্যাসে পরিণত করুন। একবার যখন আপনি অভ্যাসে পরিণত করতে পারবেন তখন ভালো ফল পাবেন। অর্থাৎ আপনার গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। আপনি তিনটি খেজুর টানা সাতদিন খান। এই সাত দিনের মধ্যে একদিনও খেজুর খাওয়া বন্ধ করবেন না। টানা সাতদিন খেজুর খাওয়ার পর আপনার গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা বিদায় নিবে। এই রমজানেই এটা অভ্যাস করার ভাল সময়।
খেজুর যে শুধু গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করবে তা নয়। খেজুরে রয়েছে আরও গুণ। খেজুর খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে, খাবারের রুচি বৃদ্ধি পায় ও হজম ক্ষমতাও বাড়াবে। এ ছাড়া, যেকোন ধরনের রোগে খেজুর একটি ভাল ওষুধ।
অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দারুণভাবে কাজ করে খেজুর। এটি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, খেজুর খেলে কোলন ভালো থাকে। খেজুর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই ব্যাকটেরিয়াগুলো কোলন ক্যান্সারের জন্য দায়ী কোষগুলোকে ধ্বংস করে। এজন্য নিয়মিত খেজুর খান।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।