নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে বিরাট কোহলির ১ হাজার ২৫৮ দিনের রাজত্ব নিজের নামে লিখিয়ে নেমেছিলেন ম্যাচটি খেলতে। সেই উচ্ছ্বাসের ছাপ পড়লো ব্যাটিংয়ে। বাবর আজম খেললেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া রানের পাহাড় পাকিস্তান ডিঙালো রেকর্ডের মালা পড়িয়ে।
সুযোগ ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দল হিসেবে দুই শর বেশি রানের লক্ষ্য পেরিয়ে ১০ উইকেটে জেতার। জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে বাবর আজমের বিদায়ে শুধু সুযোগটা নষ্ট হয়েছে। এই ম্যাচে পাকিস্তানের আক্ষেপ থাকতে পারে এই একটিই।
বুধবার সেঞ্চুরিয়নে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টি সফরকারীরা জিতেছে ৯ উইকেটে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে প্রোটিয়াদের দেয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান টপকে যায় ১২ বল হাতে রেখেই। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া বাবর জয় থেকে একটু দূরে থামেন ক্যারিয়ার সেরা ১২২ রানের ইনিং খেলে। ৫৯ বলের বিধ্বংসী ইনিংসটি ১৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজান পাক অধিনায়ক।
তার আগে ওপেনিং জুটিতে ফাওয়াদ আলমকে নিয়ে গড়েন ১৯৭ রানের রেকর্ড জুটি। ক্ষুদ্র ফরম্যাটে আগেই শতকের স্বাদ পাওয়া ফাওয়াদও ছিলেন মারমুখী, ৪৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৭৩ রানে। দুই বলে দুটি চারে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন মাঠ ছাড়েন ফখর জামান।
টি-টোয়েন্টিতে এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এই সিরিজেরই প্রথম ম্যাচে ১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল তাদের আগের রেকর্ড।
২০১৪ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে করা দেশের হয়ে আহমেদ শেহজাদের অপরাজিত ১১১ ছাড়িয়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসও এখন বাবরের দখলে। আরও একটি রেকর্ড কেড়ে নিয়েছেন শেহজাদের কাছ থেকে। ৪৯ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন বাবর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। ২০১৪ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি করে এত দিন রেকর্ডটার মালিক ছিলেন শেহজাদ।
জুটিতেও হয়েছে রেকর্ড। বাবর-ফাওয়াদের জুটিটি এখন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ। দেশের হয়ে আগের রেকর্ড ছিল শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজের। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪৩ রান করেছিলেন দুজন।
বাবরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকানরাও খারাপ ব্যাটিং করেনি। ইয়ানেমান ম্যালান ও এইডেন মার্করামের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০৪ রান। ফিফটি পেয়েছেন দুজনই। ম্যালান ৪০ বলে ৫৫ ও টানা তৃতীয় ফিফটি পাওয়া মার্করাম ৬৩ রান করেছেন ৩১ বলে। মার্করামদের ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়েই ২০০ পেরোয় দলটি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ছায়ায় ঢাকা পড়তে হলো তাঁদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।