পাকিস্তানের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠলেন বাবর আজম। তার আগে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে জহির আব্বাস, ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ২০০৩ সালে মোহাম্মদ ইউসুফ উঠেছিলেন সবার ওপরে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের তৃতীয় ওয়ানডে এবং প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বুধবার র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করে আইসিসি।
সেঞ্চুরিয়নে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৯৪ রানের ইনিংসে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন বাবর। ১৩ রেটিং পয়েন্ট পেয়ে কোহলিকে ছাড়িয়ে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এখন তার রেটিং পয়েন্ট ৮৬৫, কোহলি পিছিয়ে আট পয়েন্টে। সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় পর শীর্ষ স্থান হারালেন তিনি।
বাবর, কোহলির পর ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা পাঁচে যথাক্রমে আছেন ভারতের রোহিত শর্মা, নিউ জিল্যান্ডের রস টেইলর ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ।
উন্নতি হয়েছে শেষ ওয়ানডেতে ১০১ রান করা ফখর জামানের। পাঁচ ধাপ এগিয়ে তিনি আছেন ক্যারিয়ার সেরা সাত নম্বরে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এগিয়েছেন আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো ও অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
ওয়ানডেতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি চার ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১১তম স্থানে উঠে এসেছেন। বাঁহাতি স্পিনে ওই ম্যাচে তিন উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ নওয়াজের উন্নতি হয়েছে ২৯ ধাপ।
এই তালিকায় শীর্ষে পাঁচে আগের মতোই আছেন ট্রেন্ট বোল্ট, মুজিব-উর-রহমান, ম্যাট হেনরি, জাসপ্রিত বুমরাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে ফেরা পাকিস্তান কিপার-ব্যাটসম্যান ২৪ ধাপ এগিয়ে আছেন ২৩ নম্বরে।
উন্নতি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক হাইনরিখ ক্লাসেনের। টানা দুই ফিফটি করা এইডেন মারক্রাম ঢুকেছেন র্যাঙ্কিংয়ে। এই তালিকায় যথারীতি শীর্ষে ইংল্যান্ডের দাভিদ মালান।
বোলারদের মধ্যে পাকিস্তানের নওয়াজ, হাসান আলি ও উসমান কাদির উপরে উঠে এসেছেন। এগিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার বিউরান হেনড্রিকস। তারই সতীর্থ লেগ স্পিনার তাবরাইজ শামসি আগের মতোই আছেন চূড়ায়।
সীমিত ওভারের দুই সংস্করণের অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে আসেনি কোনো পরিবর্তন। ওয়ানডেতে শীর্ষে আছেন সাকিব আল হাসান, টি-টোয়েন্টিতে মোহাম্মদ নবি।