মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’র সাথে তুলনা করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রবিবার পশ্চিমবঙ্গে চলমান বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার নির্বাচনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে শিলিগুড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলার সময় তৃণমূল নেত্রী এই মন্তব্য করেন ।
মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা বুকে গুলি করেছে। তারা হাঁটুর নিচে গুলি করতে পারতো। একে গণহত্যা ছাড়া কি বলা যেতে পারে। ‘সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স’ (সিআইএসএফ) জনতকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, ওরা শিল্প-কারখানাতে নিরাপত্তা দিতেই বেশি অভিজ্ঞ।’ মমতার অভিযোগ আইন লঙ্ঘন করে বহিরাগতরা গুলি চালালো। এদিন তিনি বলেন, ‘কোনো সহিংসতা হলে তার নিয়ন্ত্রণে কিছু নিয়ম আছে। প্রথমে লাঠি, তার পর কাঁদানে গ্যাস..জল কামান। আমি এটা নিয়ে কোনো রাজনীতি করতে চাই না। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মানুষকে ঘিরে ধরে আছে তাদের ভোট দিতে দিচ্ছে না। মানুষকে তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া উচিত, ভোটেই তার উপযুক্ত জবাব দেবে।
শনিবার ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। ভোটচলাকালীন সকাল ১০টার দিকে শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর (সিআইএসএফ) গুলিতে চারজন নিহত হয়। জখম হয় আরও কয়েকজন। তারও আগে শীতলকুচিতেই আরও একটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পাঠানটুলির ২৮৫ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছর বয়সী আনন্দ বর্মন নামে নতুন এক ভোটারের। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুর্বৃত্তরাই গুলি চালিয়েছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই ঘটনার পরই রবিবার ওই সহিংসতা কবলিত এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল মমতা ব্যানার্জির। সেই মতো মাথাভাঙা হাসপাতালের পাশে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হন মমতা।
শীতলকুচির ওই ঘটনায় শনিবার রাতেই দুইটি কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। সহিংসতা কবলিত কোচবিহারে আগামী তিন দিন কোনো রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী সেখানে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি পঞ্চম দফার নির্বাচনী প্রচারণা ৪৮ ঘণ্টার বদলে ৭২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় ওই কেন্দ্রগুলো প্রচারণার কাজ শেষ করতে হবে। এ নিয়ে এদিনের সংবাদ সম্মেলন থেকে মমতা বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের নির্দেশে সব নিয়মকানুন পরিবর্তন করে দেওয়া যায় না। প্রতিদিন যেরকম ঘটনা ঘটাচ্ছে তা এককথায় নজিরবিহীন। আমি ওই দুঃখী পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে সেখানে যেতে দেওয়া হলো না।’ তিনি আরও বলেন ‘মডেল কোড অব কনডাক্ট’ (এমসিসি) টা এখন ‘বিজেপি কোড অব কনডাক্ট’ (বিসিসি) হয়ে গেছে। তারা যা বলছে তাই করছে।’ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে তাকে রোখা যাবে না বলেও অভিমত মমতার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।