২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
মাইক্রোঅর্গানিজম বা জীবাণু, যাকে সংক্ষেপে বলে মাইক্রোব। খালি চোখে দেখা যায় না। কেবল মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা যায়। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস এই মাইক্রো জীবাণুগুলো পৃথিবী এবং প্রাণের সৃষ্টির শুরু থেকে সমান তালে চলছিল। মানব ইতিহাসে মানুষ সবচেয়ে বেশি মারা গেছে এই জীবাণুর আক্রমণে। আর এদের মধ্যে ভাইরাস অন্যতম। প্রাচীনকালে প্লেগ থেকে স্মলপক্স, কলেরা থেকে ফ্লু, সা¤প্রতিক এইডস থেকে নতুন করোনাভাইরাস, কোটি কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ। একশো বছর আগে এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া দমনে সফল হলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের নিজস্ব ইমিউনিটি এবং আগাম প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের বিকল্প এখনো তেমন কিছু নেই। মানুষের শরীরে নতুন কোন ভাইরাস আক্রমণ উপযোগী হওয়ার আগে লক্ষ লক্ষ বছর অন্য প্রাণীদের দেহে থাকে। পরিবেশের বিপর্যয়, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বিভিন্ন প্রাণীর সংস্পর্শে আসার কারণে ভাইরাস সহ ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য মাইক্রো জীবাণুগুলো মানুষের শরীরেও প্রবেশ করছে। কোন নতুন ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে, শরীর সেই ভাইরাসটিকে দমনে প‚র্ব থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলে শরীর সহজে সেই নতুন ভাইরাসটির আক্রমণে কাবু হয়ে যায়। ২০২০ -এ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনা ভাইরাস, যা সংক্ষেপে সার্স কোভ-২ নামে পরিচিত, আর এই নতুন ভাইরাসের আক্রমণে হওয়া রোগটিকে বলে কোভিড-১৯। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীন সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে জানায় যে চীনের উহান প্রদেশে কিছু মানুষের দেহে একটি নতুন জাতের ভাইরাস পাওয়া গেছে, যে ভাইরাসের আক্রমণে কিছু লোক নিউমোনিয়া জাতীয় সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছে। ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন ভাইরাসটির একটি নাম দেন।
পুরো বছর জুড়ে থাকা করোনা প্যানডেমিক একদিকে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারছে, সাথে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও হাজার সমস্যা রেখে যাচ্ছে। অর্থনীতি এবং মানুষের সামগ্রিক জীবনে ফেলছে বিরূপ প্রভাব।
বিশ্ব যেনো আজ এক। ভাইরাস মানুষকে ঠেলে দিয়েছে এক হতে। চিকিৎসকরা একদিকে চেষ্টা করছে ভাইরাসটির আক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে, বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছে এর সঠিক ভ্যাকসিন এবং মেডিসিন আবিষ্কারে।
ভাইরাস একদিকে জীবনকে যেমন থামিয়ে দিয়েছে, জীবনের অনেক অনুষঙ্গ ভাইরাসের সাথে জড়িয়ে সামনে এসে গেছে। তাই ভাইরাসের কথা বলতে গিয়ে শরীর এবং শরীর সংশ্লিষ্ট ঘুম, স্বপ্ন, ভিটামিন, স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা, মোবাইল ফোন, বাদুড়, এমনকি মৃত্যুর কথা এসেছে।
মানুষ থেমে থাকে না। মানুষ থেমে থাকে নি। ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীর এবং মনের যুদ্ধ জয়ের মধ্যে দিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে ভাইরাসের কাছে মাথা নত না হতে। যেমন করে প্লেগ কিংবা স্মলপক্সের থাবা থেকে মানুষ নিজেকে বের করতে পেরেছে, একদিন করোনাভাইরাসও মানুষের মুখে মুখে কেবল গল্প হয়ে থাকবে।
কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞান লেখক ডা. অপ‚র্ব চৌধুরীর অষ্টম বই ্রভাইরাস ও শরীরগ্ধ।
বই : ভাইরাস ও শরীর
লেখক : ডা. অপ‚র্ব চৌধুরী
প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ
পৃষ্ঠা : ২৫৬,
মলাট ম‚ল্য : ৩৫০ টাকা
প্রকাশনী : চৈতন্য প্রকাশন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।