বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গতকাল ফরিদপুর সদর থানার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীত পাশে অবস্থিত শাহ্ ফরিদ ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে এসে দুই প্রসূতি মা এবং এক নবজাতকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, গত ০৭/০৪/২০২১ ইং বুধবার আনুমানিক সাড়ে ৪টার সময় নিলা বেগম (২৩), স্বামী-বাবুল, সাং- বালিদিয়া, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-মাগুরা কে প্রসূতি ব্যাথাজনিত কারণে উক্ত ক্লিনিকে দালালের মাধ্যমে ভর্তি করা হয়। উক্ত রোগীর ও.টি তে ডেলিভারি করানোর সময় মায়ের নারীর সাথে বাচ্চার নারীও কেটে ফেলে কর্তব্যরত ডাক্তার। তাৎক্ষনিক ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরামর্শ করে জীবিত শিশুসহ পেটের কাটা স্থান সেলাই করে দেন। যা রোগীর সাথে থাকা স্বজনরা বুঝে উঠতে পারেনি। এ সময় রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে শাহ্ ফরিদ ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাঁচানোর স্বার্থে তাদের ভাড়া করা এ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় পাঠানোর সময় ঐ রোগী মারা যায়। তার সাথে মায়ের পেটের মধ্যে ঐ জীবিত নবজাতকেরও মৃত্যু হয়।
উক্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে সত্যতা স্বীকার করেছেন যশোর জেলায় কর্মরত রোগীর আত্মীয় পুলিশ কনস্টেবল মো: খালিদ। অপরদিকে একই দিনে ঐ ক্লিনিকে নাইচ বেগম (২০), স্বামী-হুসাইন, সাং-বাইনারা, থানা-বালিয়াকান্দি, জেলা- রাজবাড়ী কে ঐ ক্লিনিকে দালালরা ফুসলিয়ে ভর্তি করে তাকেও সিজারের ব্যবস্থা করেন। ঐ সময় ওটিতে তার অবস্থারও অবনতি ঘটলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাঁচাতে মেডিকেল কলেজে ভর্তির উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে ঐ রোগীরও মৃত্যু হয় বলে তার স্বজনরা দাবি করেন। দুটি ঘটনাই ডাক্তারদের অবহেলা এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অসচেতনতার কারণে তিনটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল বলে স্থানীয়দের দাবি।
এ ব্যাপারে শাহ্ ফরিদ ক্লিনিকের ১৬ জন শেয়ার মালিকের মধ্যে জনৈক শেয়ার মালিক আজমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ডাক্তারদের অথবা আমাদের কোনই অবহেলা ছিল না। দুটি রোগীর স্বজনরা সঠিক সময় রক্তের যোগান দিতে না পারায় তাদের মৃত্যু হয় বলে তিনি দাবি করেন।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মো: কাইয়ুম ও ডাক্তার সানজিদা বেগম এবং ডাক্তার সাইফুল উল্লেখিত রোগী দুটির অপারেশনের কাজ পরিচালনা করেন।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ প্রতিনিধি কর্তব্যরত ডাক্তার কাইয়ুমকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে প্রতিনিধি ৫ বার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য মেডিকেল কলেজের বিপরীত পাশে পাংশা ড্রাগ হাউস নামে একটি ফার্মেসীতে কর্মরত মো: আহাদ নাম ব্যক্তি উল্লিখিত দুটি রোগীকে তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে উক্ত ক্লিনিকে ভর্তি করান বলে ক্লিনিক শেয়ার মালিক মো: আজম নিশ্চিত করেছেন। এলাকাবাসীর দাবি এই আহাদ সে মেডিকেল এলাকার একজন নামকরা দালাল। তিনি মাঝে মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীদের ফুসলিয়ে এনে এই ক্লিনিকে সিজার অপারেশন সহ নানা ধরনের রোগী দিয়ে কমিশন নেন এবং তার ফার্মেসী থেকেও রোগীদের সকল ঔষুধপত্র বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তবে এ বিষয়টি পাংশা ফার্মেসীর কর্মচারী আহাদ সম্পূর্ণই অস্বীকার করেন। উল্লেখ্য দুটি বিষয়েই স্বজনরা মামলা করবে বলে জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।