বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে গত ২ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সময় আরো বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে বনের প্রাণীকুল অবাধে বিচরণ করে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন করমজল ফরেষ্ট ষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির। তিনি জানান, করমজলসহ সুন্দরবনের প্রায় ১০ টি স্পটে প্রতি বছর দেড় থেকে ২ লাখ পর্যটক প্রবেশ করে থাকেন। প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যটকদের আনাগোনার কারণে হরিণ, বানরসহ অনেক প্রাণীই বনের গভীরে থাকে এবং বেশ আতংক বিরাজ করে তাদের মাঝে। পর্যটন স্পটগুলোতে যারা আসেন, তারাও বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত করে থাকেন।
সুন্দরবনে প্রবেশ নিষেধ ঘোষণার পর গত কয়েকদিন প্রাণীরা অনেকটাই স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিত্রা হরিণগুলো নির্ভয়ে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। নদীর পাড়ে নিশ্চিন্তে পানি খেতে আসছে তারা। পর্যটকদের ভিড় থাকলে সচরাচর হরিণগুলো পানি খেতে নদী বা খালে নামে না। বনের গভীরেই থাকে। পাখিদের আনাগোনাও বেড়েছে। বানর ও বনমোরগগুলো গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে বাঘের দেখা মেলেনি। স্বাভাবিক সময়েও বাঘ বিশেষ কারণ ছাড়া লোকালয়ে প্রবেশ করে না বলে জানান তিনি।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর দেশি-বিদেশি প্রায় ২ লাখ পর্যটক সুন্দরবনে ঘুরতে আসেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছর ১৯ মার্চ থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ছিল। তারপরও ১ লাখ ৭২ হাজারের মতো পর্যটক এসেছিলেন সুন্দরবনে। তিনি আরো বলেন, বনে জনসমাগম না থাকায় বন্য জীবজন্তুরা নিশ্চিন্তে বিচরণ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।