মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, নির্বাচনের আগেই আমার পায়ে ইচ্ছা করে আঘাত করে দিল, যাতে আমি নির্বাচনী প্রচারণায় বের হতে না পারি। আমি বললাম, আমার একটা পা ভাঙা হয়েছে তো, কী হয়েছে? ওই একটা পা নিয়েই আমি যা করে বেড়াচ্ছি... ওই একটা পায়েই দেখবেন, আমি বাংলা জয় করব। আর দুই পায়ে আগামী দিন দিল্লি জয় করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজ সোমবার হুগলি জেলার চুঁচুড়ার দেবানন্দপুরে এক নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা এ কথা বলেন। এদিনের জনসভা থেকে চঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী ও এই কেন্দ্রের সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিকে নিশানা করে মমতা বলেন ‘এখানে ওদের একজন সংসদ সদস্য হিসেবে দাঁড়িয়েছিল, জিতেছে। এবার বিধায়ক পদে দাঁড়িয়েছে, কী করবে আমি জানি না। এরপরে কাউন্সিলার পদে দাঁড়াবে, তারপর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে দাঁড়াবে, পরে স্কুলবোর্ড, পরে খেলার মাঠে দাঁড়াবে। ওরা কোথায় কোথায় যে দাঁড়াবে ওদেরকেই একটু জিজ্ঞাসা করতে বলুন। আমি ওদের কীর্তিকলাপ জানি। আমাদের দলকে এরা সারদা-নারদা বলে। আর ওরা হলো সারদা-নারদার কোলের বাচ্চা। বাবুল সুপ্রিয় একদিন বলেছিল, সারাদা হচ্ছে রোজভ্যালির প্রথম গোলাপ। আর লকেট হলো সেই সারদার গলার লকেট। ও তো লকেট হয়েই ঘুরে বেড়ায়। আমি সব জানি। এদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগও হয় না।’
মমতা বলেন, বিজেপি যদি ভাল দলই হয়, তবে কি স্থানীয় কোন প্রার্থী খুঁজে পেল না, তাকে দাঁড় করাতে পারতো না? সাংসদ নির্বাচনে কলকাতা থেকে এসে দাঁড়াচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। ও তো জিতবে না, ও টাকার জন্য দাঁড়িয়েছে। কারণ, বিজেপি স্থানীয় লোকদের সম্মান দেয় না। তাদের প্রার্থী করে না। বিজেপিতে দাঁড়ানোই হলো টাকা ইনকাম করা। বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দিয়ে মমতা বলেন, দাঙ্গা করা ছাড়া ওরা কিছু দেখছে না। ছত্রিশগডড়ের সুকমায় জওয়ান মারা গেছে, দিলিতে দাঙ্গায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে, পুলওয়ামায় লোক মেরেছে। আর নির্বাচন করবে বলে, বাংলা দখল করবে বলে রুপির থলি নিয়ে সবকটা এসে বসে আছে। তাই এদেরকে পরাস্ত করতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী করোনার কারণে মাঝপথে রাজ্যের নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন । প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আট দফায় নির্বাচন কী দরকার ছিল? ৩ থেকে ৪ দফায় তো নির্বাচন হয়ে যেতে পারতো। আসামে তিন দফায় হতে পারে, তামিলনাড়ুতে এতগুলো আসন, সেখানে এক দফায় হতে পারে। আর বাংলাকে বদনাম করা হচ্ছে। চারদিকে করোনা হচ্ছে, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমরা এখানে ঠিক আছি। কিন্তু এই সময় কী উচিত ছিল না, পরিস্থিতি বিচার করে অল্প সময়ের মধ্যে তিন-চারটে দফায় নির্বাচন শেষ করে দেওয়া। বিজেপি কী চায়? করোনা হয়েছে বলে নির্বাচন বন্ধ করে দিতে চায়? এই চালাকি হবে না। নির্বাচন যখন শুরু হয়েছে, তখন নির্বাচন শেষ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।