২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
প্রচণ্ড গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে লবন বেরিয়ে যায়। তাই অল্পেই ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে হয় গ্রীষ্মে। এই গরমে মশলা জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে পানীয় খাবারের উপরেই নির্ভর করতে হয় বেশির ভাগ সময়ে।
গরমে এমন খাবারই খাওয়া উচিত, যাতে পর্যাপ্ত পানি আছে। কারণ, গরমে ঘামে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। তা ছাড়া কিছু খাবার শরীরের গরম কমাতেও সাহায্য করে। তাই গরম থেকে বাঁচতে খেতে হবে শরীর ঠান্ডা করা খাবার আর শরবত। শরবত খাওয়ার ফলে খাবার হজমও হয় সহজে। শরীরও ঠান্ডা রাখতে খেতে পারেন এসব খাবার-
১. তরমুজ: ঠান্ডা ঠান্ডা তরমুজ গরমে শরীরে দেবে প্রশান্তি। তাই এই সময় আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েক টুকরা তরমুজ রাখতে পারেন। তরমুজের মধ্যে ৯০ শতাংশই পানি থাকায় তা আপনার শরীরকে আরাম দেবে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ এই ফলে আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২. শসা: গরমে একটা শসা আপনাকে ঠান্ডা রাখতে অনেকটা সাহায্য করতে পারে। শসায় প্রচুর পরিমাণ পানি থাকার কারণে এটি গ্রীষ্মের জনপ্রিয় সবজি হিসেবে খাদ্যতালিকায় শুরুর দিকে থাকে। শসা ফসফরাস, জিংক, ক্যালসিয়াম ও অন্য বেশ কয়েকটি খনিজ পদার্থের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। বাইরে গরম থাকলে তাই একটা শসা খেয়ে দেখুন, মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও ঠান্ডা থাকবে।
৩. পুদিনাপাতা: ঠান্ডা ও প্রশান্তির জন্য পুদিনাপাতাও ভালো খাবার। গরম কমাতে অনায়াসে নানাভাবে পুদিনাপাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সঙ্গে পুদিনাপাতার গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও ভালো ফল পাবেন। এ ছাড়া বাজারে ‘মিন্ট টি’ কিনতে পাওয়া যায়, সেটা খাওয়ার অভ্যাস করলেও গরমে প্রশান্তি পাবেন।
৪. সবুজ শাক: সবুজ পাতার শাকে কম ক্যালরির পাশাপাশি থাকে ৯২ শতাংশ পানি, যা আপনার শরীরকে ঠান্ডা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। আপনার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখবে। সবুজ শাকে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ‘কে’ পাওয়া যায়। আছে ফলিক অ্যাসিডও। আর এসবের সবটাই আপনার জন্য এই মৌসুমে দারুণ উপকারী।
৫. দই: গরমের খাবার হিসেবে দইও ভালো খাবার। বিশেষ করে টকদই। দই দিয়ে তৈরি লাচ্ছিও খেতে পারেন। এ ছাড়া বাজারে নানা ধরনের দইয়ের পানীয় পাওয়া যায়, সেসবও গরমের খাবার হিসেবে খেতে পারেন। তিনবেলা নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি কিছুটা দকদই খেলেও ভালো ফল পাবেন। কারণ, দইয়ের ৮৫ শতাংশ পানি আপনার শরীরকে গরমে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।