Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গুলশানে গৃহবধূ হত্যা

স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীর গুলশানে গৃহবধূ হাসনা হেনা ওরফে ঝিলিক (২৬) হত্যার অভিযোগে তার স্বামী সাকিব আলমসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে হাসনা হেনার মা তাহমিনা হোসেন ওরফে আসমা বাদী হয়ে গুলশান থানায় এই হত্যা মামলা করেন।

আসামিরা হলেন- হাসনা হেনার শ্বশুর জাহাঙ্গীর আলম (৬২), শাশুড়ি সাঈদা আলম (৫৮), দেবর ফাহিম আলম (৩২) ও জা টুকটুকি আক্তার (৩০)।
এদিকে, হাসনা হেনার স্বামী সাকিব আলমকে গত শনিবার হাসপাতাল থেকে আটক করেছে পুলিশ। পরে গতকাল এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সাকিব আলমের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, এই ঘটনায় গত শনিবার হাসপাতাল থেকে সাকিব আলম ও তাদের বাড়ি থেকে বাড়ির তত্ত¡াবধায়ক আজাদকে আটক করা হয়। আজাদকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর সাকিব আলমকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
হাসনা হেনা গুলশান-২-এ ৩৬ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে থাকতেন। সেটি তার শ্বশুরবাড়ি। গত শনিবার সকালে হাসনা হেনাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার লাশ গাড়িতে নিয়ে স্বামী সাকিব আলম হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজান বলে গুলশান ও হাতিরঝিল থানার পুলিশ সূত্র জানায়।
পুলিশ জানায়, নিহত নারীর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন ও দুই পায়ে বাঁধার চিহ্ন আছে। এ ছাড়া শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে, কপালে ও মাথায় হালকা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মামলায় বলা হয়, গত শুক্রবার রাত থেকে গত শনিবার সকাল আটটার মধ্যে গুলশানের বাসায় ওই হত্যার ঘটনা ঘটে। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে হাসনা হেনাকে হত্যার পর ঘটনা গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, বিয়ের পর জানা যায়, হাসনা হেনার স্বামী সাকিব আলম মাদকাসক্ত। তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের প্ররোচনায় হাসনা হেনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
তাহমিনা হোসেন বলেন, হাসনা হেনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বের করে দিয়েছিলেন। হাসনা হেনার নয় মাস বয়সী একটি ছেলে আছে। তাহমিনা হোসেন আরও বলেছেন, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৮ সালে হাসনা হেনাকে বিয়ে করেন সাকিব। কিন্তু তারা গরিব বলে বিয়ের শুরু থেকে শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে হাসনা হেনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন অনেক ধনী। গুলশান-২ নম্বরে তাদের তিনটি ফ্ল্যাট আছে। গুলশানে তাদের মার্কেট ও পল্টনে কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। পুরান ঢাকাতেও দুটি ভবন আছে তাদের।
অভিযোগের বিষয়ে নিহত নারীর শ্বশুর জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, মেরে ফেললে সাকিব মেরেছেন। এর সঙ্গে অন্যরা যুক্ত নয়। তারা কোনো শব্দ বা চিৎকার শোনেননি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ