পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা- ১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আর নেই। গতকাল রোববার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া উন্নাহ ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। আসলামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক শোকবার্তায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী শোক প্রকাশ করেছেন। আসলামুল হক ২০০৯ প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অতপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আসলামুল হকের পৈতৃক বাড়ি ঢাকা জেলার মিরপুর এলাকায়। তার পিতার নাম হাজী মো. এনামুল হক মুন্সী এবং মায়ের নাম ফিরোজা হক। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশায় ব্যবসায়ী আসলামুল হক রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি মায়িশা গ্রæপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ভ‚মি ব্যবস্থাপনা, রিয়েল এস্টেট, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিক্রয়, কেমিক্যাল আমদানি, কনজ্যুমার প্রোডাক্টস ও ট্রেডিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্যও ছিলেন।
আসলামুল হক ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই সময়ে তিনি জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদের হাউস কমিটি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ ছাড়া বর্তমানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সহসভাপতি ছিলেন তিনি।
আসলামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে ন‚র তাপস এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম পৃথক শোক বার্তায় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।