পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে তার দল কোনো বিরোধিতা করেনি। তিনি বলেন, বিএনপি থেকে মোদিবিরোধী কোনো স্লোগান বা মোদির আগমন করা যাবে না- এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়নি। মোদি সফরের সূত্র ধরে হেফাজতের আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপিকে কেন জড়ানো হচ্ছে সেই প্রশ্নও তোলেন এমপি হারুন। গতকাল জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম নরেন্দ্র মোদির আগমন নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনার প্রেক্ষিতে সংসদে কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলাম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তিনি বিএনপিকেও স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দেন।
বিএনপির এমপি হারুন বলেন, যে বিষয়টি এই সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাই আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কী থাকবে? ৫০ বছরপূর্তি-আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী। এই সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা লাশ উপহার দিলাম। আমরা কী শান্তিপূর্ণভাবে সারাদেশের কোথাও সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পেরেছি?
শেখ সেলিমের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি থেকে মোদিবিরোধী স্লোগান বা মোদির আগমন করা যাবে না- এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়নি। কোনো কথা ছিল না। যেহেতু ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় সব কর্মসূচি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন। সে কারণে আমরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে সীমিত আকারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারেও খুবই সীমিত আকারে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। কারণ করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে আমাদের জায়গা থেকে কর্মসূচিগুলো সীমিত করে দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামবিরোধী কোনো কর্মকান্ড হলে বায়তুল মোকাররম মসজিদে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয় উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আমল পর্যন্ত ইসলামবিদ্বেষী কোনো কর্মকান্ড হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ হয়েছে। ফ্রান্সে আল্লাহ রাসুল (সা.) নিয়ে যখন কটাক্ষ করা হয়েছে। তখন বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকেই প্রতিবাদ করা হয়েছে।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই এমপি বলেন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ যারা করল, তাদের সাথে আলোচনা করতে পারতেন। যখন ভাস্কর্য-মূর্তি নিয়ে দেশে একটি সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলো, তখন হেফাজতের সঙ্গে তো সরকার আলোচনা করেছে। এর আগেও তো সরকার হেফাজতের সঙ্গে আলোচনা করেছে। আলোচনা করতেন যে বিদেশি মেহমানরা আসছে, তোমরা আন্দোলন-বিক্ষোভ বন্ধ রাখো। সেই ক্ষেত্রে বিএনপিকে কেন জড়ানো হচ্ছে?’
হারুন বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ করে দিলে সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ অবশ্যই সৃষ্টি হবে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাগুলোকে মুক্ত করা দরকার। মতপ্রকাশের জায়গাগুলো আজ রুদ্ধ হয়ে গেছে। সেই অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আজকের সংকট হচ্ছে গণতন্ত্রের সংকট। এই সংকটের জন্য জাতি আজকে এই অবস্থার মধ্যে পতিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।