বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত ৩১মার্চ সম্পন্ন হওয়া কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনের জের হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের অর্ধশতাধিক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে বিজয়ী নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা। এতেকরে কালকিনি পৌর এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। জান ও মালের হানী ঘটার আতঙ্কে বাড়ি ঘর ছেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নির্বাচনে সক্রিয় ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী এস.এম হানিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ ও সোহেল রানা মিঠু। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নৌকা প্রতিক বিজয় অর্জন করে। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ী নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা যারা প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে সক্রিয় ভাবে নির্বাচন করেছে তাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। বিভাগদি গ্রামের ফালান বেপারী, রুমা বেগম, শহিদুল হাওলাদার, এচাহাক হাওলাদার, আঃ রব হাওলাদার, সাদিপুর গ্রামের জসিম হাওলাদারের দোকান, মজিবর, পাঙ্গাসিয়া গ্রামের রাজ্জাক, দক্ষিণ কৃষ্ণনগর গ্রামে সেলিম হাওলাদার, চর ঠেংগামারা গ্রামের হায়দার সরদারের দোকান, খোকন চৌকিদার, পলাশ কাজী, আদারী কাজি, এব্রাহিম কাজি, কেরামত সিকদার, উত্তর ঠেংগামারা গ্রামের ইউনুস হাওলাদার, হৃদয় বেপারী, আলি সরদার, মিরকান সরদার সহ অর্ধশতাধিক সমর্থকদের বাড়ি ঘর ও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
এব্যাপারে নবনির্বাচিত মেয়র প্রার্থী এস.এম হানিফ বলেন ‘ যাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালানো হয়েছে এবং যারা এর সাথে জড়িত তারা মূলত একে অপরের সাথে পূর্বের শত্রুতার জেরে হামলা করে নির্বাচনী জেরে চালিয়ে দিচ্ছে। আমার কর্মীদের প্রতি আহ্বান আপনারা শান্ত থাকুন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখুন।’
এব্যাপারে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ ইশতিয়াক আশরাফ রাসেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ‘ এবিষয়ে পরে বলছি। আর পরে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি ফোন রিসিভ করেননি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।