Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পরাশক্তি দেশগুলো

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ১০:১৪ এএম

পরমাণু সমঝোতা নিয়ে ইরানের সঙ্গে আবারো আলোচনায় বসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পরাশক্তি দেশগুলো। ২০১৫ সালে সম্পাদিত ঐতিহাসিক ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করা দেশগুলোর প্রতিনিধিরাই কেবল তেহরানের সঙ্গে এই বৈঠকে অংশ নেবেন। শুক্রবার (২ এপ্রিল) ভার্চ্যুয়ালি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এদিকে পরমাণু চুক্তি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে আলোচনার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটাকে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ বলেও উল্লেখ করেছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়েই পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে ইচ্ছুক। তবে গত জানুয়ারিতে বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর এই ইস্যুতে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাইছে ওয়াশিংটন। অবশ্য চুক্তিতে ফিরতে চাইলেও জানুয়ারি থেকেই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কে আগে পরমাণু চুক্তিতে ফিরবে তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ের পর ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় ফেরার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পরমাণু সমঝোতা মেনে চলার বিষয়ে তেহরানের অঙ্গীকার করার আহ্বান জানায় ওয়াশিংটন।
তবে ইরানের দাবি, আগে তাদের ওপর থেকে সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে, এরপরই সমঝোতায় ফিরবে দেশটি। এ বিষয়ে উভয় দেশ অনড় অবস্থানে থাকায় পরমাণু সমঝোতায় ফেরা নিয়ে সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তা।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ইইউ জানায়, ‘ইরানের সঙ্গ স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্লান অব অ্যাকশনে (জেসিপিওএ) অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলো আলোচনায় বসবে। একইসঙ্গে এই চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং সকলপক্ষই কিভাবে সেটা মেনে চলতে পারে; সেটাও আলোচনা করা হবে।’
এদিকে শুক্রবারের এই বৈঠককে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বারবার বলে এসেছি যে, ওয়াশিংটন এই পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে ইচ্ছুক। আমরা চাই ইরানও একই কাজ করুক।’
তিনি আরও বলেন, পারস্পারিক সমঝোতামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমেই এই চুক্তি আবারও কার্যকর করতে চায় ওয়াশিংটন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার এক ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দাবি করেন, বাইডেন প্রশাসনের কথা কাজে রূপান্তরিত হয়নি এবং চুক্তিতে ফেরার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তার দেশ ‘কার্যকর কোনো পদক্ষেপ’ লক্ষ্য করেনি। এরপরই বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আলোচনার এই ঘোষণা দেওয়া হল। সূত্র: আলজাজিরা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান-যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ