২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
মুখের মেছতা এখনকার সময়ে মেয়েদের মধ্যে খুব প্রচলিত একটি সমস্যা। এক কথায় মুখের মেছতা ও বলিরেখা এ দুটো জিনিস মেয়েদের জন্য একটি বিড়ম্বনাকর সমস্যা।
২০-২৫ বছর বয়সের পর মেয়েদের বিশেষ করে বিবাহিত মহিলাদের যাদের বাচ্চা হয়েছে, যারা পিল ব্যবহার করেন, তাদের এই হরমোনের কারণে মুখের দুই পাশের গালে খয়েরি রঙের, বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। আস্তে আস্তে এটা আরো গাঢ় হয়ে কালচেও হয়ে যেতে পারে। এর সঙ্গে যদি সূর্যের আলো পড়ে তখন দেখা যায় এটি আরো গাঢ় হয়ে গেছে। নারীরা প্রথমেই ক্রিম, স্নো বিভিন্ন কিছু মাখে। এর ফলে আরো জটিলতা নিয়ে তারা চিকিৎসকের কাছে আসে। বয়স যত বাড়তে থাকে, এই কোলোজেন জালটি আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। কোলাজেন জাল নষ্ট হলে মুখের যে ত্বক এখানে বলিরেখা দেখা দেয়। এটাও একটি বিব্রতকর সমস্যা। কারণ, মুখে যদি ভাঁজ দেখা যায়, মহিলা ও পুরুষ সবাই একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। অনেকে ক্রিম, স্নো ব্যবহার করেছে কিন্তু সব ক্রিম স্নো ব্যবহারেও একধরনের জটিলতা দেখা দেয়। অনেকের হয়তো চামড়া পুড়ে যেতে পারে। অনেকের দেখা যায় বেশি গাঢ় হয়ে গেছে বা ক্ষত হয়ে গেছে। এই ধরনের ক্রিম, স্নো ব্যবহার করা বন্ধ রাখুন। এর নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসা আছে। যেমন- হাইড্রোকুইনোন, এসিটিটিনয়েন বা আইসিটিটিনয়েন এটা যোগ করে, সঙ্গে একটা হালকা এক ধরনের স্টেরয়েড এই তিনটির সম্মিলনে একধরনের ক্রিম আছে শুধু মাত্র রাতে ব্যবহার করুন, সকালবেলা ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং দিনের বেলায় রোদের আলোতে যাবেন না। রোদের আলোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই তাকে একটি চিকিৎসকের পরামর্শমত ভাল সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
এর আরো কিছু চিকিৎসা আছে কেমিক্যাল পিলিং অথবা মাইক্রোডার্মাবেশন ও লেজার চিকিৎসা। যদিও লেজার চিকিৎসা অতটা ভালো ফল দেয় না, তবে কেমিক্যাল পিলিং ও মাইক্রোডার্মাবেশনে মোটামুটি দেখা যায়, মেছতা অনেকটাই পরিষ্কার করা যায়। এই চিকিৎসাটা ব্যয়বহুল। বিশেষ করে যাঁরা মিডিয়ার জগতে বা মানুষের সামনে বেশি আসেন, তাঁদের জন্যই সাধারণত পরামর্শগুলো।
বলিরেখার ক্ষেত্রে কোলাজেন ইনজেকশন আছে এক ধরনের। এটি দিলে চামড়া আবার টান টান হয়ে যায়। তিন থেকে চার মাস বা ছয় মাস এর প্রভাবটা থাকে। আবার তাকে নিতে হয়। এটি অনেক ব্যয়বহুল। বাংলাদেশে বটুলিনিয়াম ইন্জেকশন করা হয়। বটুলিনিয়াম ইন্জেকশন করলে তিন থেকে চার মাসের প্রভাব থাকে। এটা করলে দেখা যায় চামড়া টান টান অবস্থায় আসে এবং বলিরেখা তখন দেখা যায় না।
ডা. জেসমিন আক্তার লীনা
সহকারি অধ্যাপক (ডার্মাটোলজী)
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
অরোরা স্কিন এন্ড এয়েসথেটিকস
পান্থপথ, ঢাকা।
০১৭২০১২১৯৮২।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।