পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর ইস্যুতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের এতো যে বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, কিন্তু তিস্তা চুক্তি তো হয়নি, সীমান্ত হত্যাও তো চলছেই। শুধুমাত্র বর্ডার ক্রস করার জন্য গুলি করে হত্যার নজির পৃথিবীর কোনও সভ্য দেশে আছে কিনা আমার জানা নেই। তিনি বলেছেন, সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেছে, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক। ভালো কথা। আমরাও চাই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর হোক। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিস্তা পানি চুক্তি হয়নি, সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ হয়নি। বর্ডার ক্রসের জন্য বিচারব্যবস্থা থাকতে পারে, কিন্তু গুলি করে হত্যার বিধান পৃথিবীর কোনও দেশে আছে বলে আমার জানা নেই। তাদের (ভারত) সাথে আমাদের যে ব্যবসা-বাণিজ্য আছে সেগুলোরও কোনও সমাধান আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। এই সরকার এতোটাই নতজানু যে, ভারত কিংবা অন্যান্য দেশ থেকে কোনোভাবেই আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো আদায় করতে পারছে না।
স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে নিরীহ মানুষকে হত্যার প্রতিবাদে গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার স্বাধীনতা দিবসের দিনে, ৫০ বছর পূর্তির দিনে সারা বাংলাদেশের মাটিতে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের যে প্রাণহানি এজন্য এই সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী। সেজন্য এই সরকারকে জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে এবং এই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। এই সরকার খুব পরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। দেশের মানুষের যে আশা-ভরশা তা শেষ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করেছি, এই সরকার তার পেটুয়াবাহিনীসহ আওয়ামী ক্যাডারদের দিয়ে নিরীহ মানুষদের ওপর অত্যাচার করেছে, হত্যা করেছে, গ্রেফতার করেছে। আমাদের দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীসহ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, এভাবে কখনও একটি দেশ চলতে পারে না।
উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই সরকারকে রেখে স্বাধীনতার, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা রক্ষা হবে না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এই সরকারের চক্রান্তের ফলে গত তিন বছর ধরে আটক আছেন। তাঁকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমান নির্বাসিত, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় আওয়ামী লীগকে বলতে চাই, আপনারা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় প্রতিটি বিকৃত সরকারকে যেভাবে পদত্যাগ নিতে হয়েছে, আপনাদেরও একইভাবে বিদায় নিতে হবে।
সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মহানগরের মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জু, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মোর্তাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সরোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মিজানুর রহমান রাজ, আরিফা সুলতানা রুমা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।