বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রবর্তক সংঘের জমি দখলের অপচেষ্টা ও সংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর ‘ইসকন’ নামধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে প্রবর্তক সংঘ। অন্যদিকে প্রবর্তকের ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি করেছে ইসকন। গতকাল এবং গত সোমবার পৃথক দুটি মতবিনিময় সভায় পাল্টাপাল্টি এ দাবি জানান প্রবর্তক সংঘ ও ইসকনের নেতারা।
প্রবর্তক সংঘের মাস্টার দা সূর্যসেন অডিটোরিয়ামে অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র লালার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় গতকাল অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভায় পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এগুলো হল- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর সশস্ত্র হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা। প্রবর্তক মন্দিরে ইসকন নামধারী সন্ত্রাসীরা সনাতন ধর্মকে কলঙ্কিত করেছে, প্রবর্তক মন্দিরকে অপবিত্র করে নৈতিকতার দিক থেকে মন্দিরে পৌরহিত্য করার অধিকার হারিয়েছে মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণে এসব ইসকন নামধারী সন্ত্রাসী পুরোহিতদের মন্দির থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। যারা হামলা করেছেন এবং ইসকনকে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রবর্তক এলাকা থেকে চিরতরে বহিষ্কারেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়, প্রফেসর বেণু কুমার দে, প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ, অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, ডা. সুভাষ সূত্রধর, এপিপি অ্যাডভোকেট প্রবীর ভট্টাচার্য্য বক্তব্য রাখেন।
অন্যদিকে ইসকনের উদ্যোগে ইসকন প্রবর্তক মন্দির ও সাধুদের ওপর আক্রমণকারী সন্ত্রাসীদের দ্রæত গ্রেফতার এবং সাধু-সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। গত সোমবার নগরীর জেএম সেন হলে ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের প্রিন্সিপাল লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী। এতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ, নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।