পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর কাজির দেউড়িতে সোমবার বিকেলে পুলিশের সাথে বিএনপির কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষে ১০ পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির দাবি, আহত নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে পুলিশের সাথে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পুলিশ ওইদিন সন্ধ্যায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার কোতোয়ালী থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
সংঘর্ষের জন্য পুলিশ এবং বিএনপি পরস্পরকে দোষারোপ করছে। নগর বিএনপির সিনিয়র নেতা ও দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি মিছিল বের করে। নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে চিটাগাং ক্লাব এবং আলমাস সিনেমার সামনে থেকে দুটি বিক্ষোভ মিছিল কাজির দেউড়ি মোড় এলাকায় আসতেই পুলিশ তাতে হামলা শুরু করে। প্রথমে লাঠিচার্জ, এরপর টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কাজির দেউড়ি মোড়ে মিছিলে হামলার সাথে সাথে নাসিমন ভবন কাজির দেউড়ি বাজার, নেভাল এভিনিউসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর শুরু করে বিএনপির কর্মীরা। তারা পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। কর্মীরা একটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি টং দোকান এবং সড়কের আশেপাশে থাকা দাহ্য বস্তু জড়ো করে বিভিন্ন পয়েন্টে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের রাবার বুলেট আর টিয়ারসেলের জবাবে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে বিএনপির কর্মীরা। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা করেছে বিএনপির কর্মীরা। তারা মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে, ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও লাঠিচার্জ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনকে আটক করার কথা জানান ওসি।
এদিকে সন্ধ্যায় নগরীর প্রবর্তক মোড়ের ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান জানান, সোমবার দুপুরে বিএনপি নেত্রী লুসি খান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ডা. শাহাদাতের বিরুদ্ধে তাকে হুমকি ও কোটি টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একটি এনজিওর পরিচালক লুসি খান গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। বিএনপির নেতারা এ মামলাকে পুলিশের সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে গতকাল কোতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় ডা. শাহাদাতকে আসামি করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ দুটি মামলায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মহিলা দল নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, আখি সুলতানা, দেওয়ান মাহমুদা লিটা, রিনা বেগম, ফাতেমা কাজলও রয়েছেন।
নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান, পুলিশের গুলিতে আহত যুবদল নেতা তৈয়ব আলী, কিং মোতালেব, আনিসুজ্জামান, আবদুর রহিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, যুবদল নেতা হায়দার হোসেন, মো. হেলাল, শাহাবুদ্দিন সাবু, সাহেদ তৈমুর, ইসহাক খান, মো. সবুজ, মো. বাবু, মনজুর আলম ও মো. ইলিয়াসকে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক বিএনপির মিছিলে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।