পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সিনিয়র অ্যাডভোকেট এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের পিতা অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান (৯০) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল শনিবার ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। এ সময তিনি পাঁচ ছেলে- মেয়ে, নাতি-নাতনি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রথিতযশা এই আইনজীবীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। প্রধান বিচারপতি তার শোকবার্তায় মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান তার ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুপ্রিম কোর্ট বারের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের জানাজা বাদ আছর রাজধানীর বারিধারা মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ১৯৮৪ সালে এরশাদ সরকারের ধর্মমন্ত্রী এবং ১৯৮৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৩ আসন (চাটখিল) থেকে বিএনপির মনোয়নে এমপি নির্বাচিত হন। অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ১৯৬২ সালের ১২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। দীর্ঘদিন তিনি আইন পেশায় সম্পৃক্ত করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের পিতা।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুবু রহমানের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম জানান, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান নোয়াখালীর চাটখিল পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর মহল্লার বাসিন্দা। বাদ আছর বারিধারা জামে মসজিদে জানাজা শেষে বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান একাধারে একজন রাজনীতিবিদ, পরপর দু’বারের মন্ত্রী, নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক এমপি এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের একজন প্রথিতযশা আইনজীবী।
১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত এরশাদ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালের তিনি পুনরায় জাতীয় পার্টিতে ফিরে যান। রাজনৈতিক জীবনের পুরোটা সময়জুড়ে তিনি জাতীয়তাবাদী ঘরানার রাজনীতির সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।
তার সহধর্মিণী ডা: ফিরোজা বেগমও যশস্বী চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।