Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

লাশ পেলেন স্বজনরা বাস চালক আটক

রাজশাহীতে সড়কে ১৭ জন নিহতের ঘটনা

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজশাহীর কাটাখালীতে যাত্রীবাহী বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে অপেক্ষারত স্বজনদের কাছে এসব লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় অপেক্ষায় থাকা স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে মর্মান্তিক এ ঘটনার একমাত্র আসামি হানিফ বাসের ড্রাইভার আব্দুর রহিমকে আটক করেছে পুলিশ। আটক বাস চালক পুঠিয়া উপজেলার বারই পাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।

এর আগে গত শুক্রবার কাটাখালীতে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হন। সংঘর্ষের পর অগ্নিকান্ডে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ৪টি পরিবারের ২ শিশু, ৪ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ একটি মাইক্রোবাসযোগে রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাইক্রোবাসটি রাজশাহীর কাটাখালি থানার সামনে পৌঁছালে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। সাথে সাথে মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা ১৮ জন যাত্রীর মধ্যে ১১ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত ৮ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়। এখনো ১ জন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। নিহতরা সবাই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা রাজশাহীতে একটি পার্কে পিকনিক করতে আসছিলেন। একজন বেঁচে থাকায় মাইক্রোবাসে চালকসহ ১৮ জন ছিলেন।

এই দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মধ্যে বেঁচে আছেন শুধু পাভেল (২৭) নামে একজন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় তার বাবা মোখলেসুর রহমান (৪৫) ও মা পারভীন বেগম (৪০) নিহত হন। তাদের বাড়ি পীরগঞ্জের ডারিকাপাড়া গ্রামে।

এছাড়া নিহত অন্যান্যরা হলেন, পীরগঞ্জের রাঙ্গামাটি গ্রামের মো. সালাহউদ্দিন (৩৬), তার স্ত্রী শামসুন্নাহার (২৫), তাদের ছেলে সাজিদ (৮), মেয়ে সাফা (২), শামসুন্নাহারের বড় বোন কামরুন্নাহার (৩৭), উপজেলা সদরের মো. ভুট্টু (৪০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৪০), ছেলে ইয়ামিন (১৫), বড় মজিদপুরের ফুলমিয়া (৪০), তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), ছেলে ফয়সাল (১৫) এবং মেয়ে সুমাইয়া (৮), সাবিহা (৩), দুরামিঠিপুরের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম (৪৬) এবং মাইক্রোবাসের চালক মো. হানিফ (৩০)। হানিফের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার পঁচাকান্দ গ্রামে।

সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবু আসলামকে আহবায়ক করে একটি কমিটি করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। তিনি বলেন, তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিলে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বলা যাবে। আর সরকারি খরচে লাশগুলো পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চালক আটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ