পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ফাঁকা রাজধানী ঢাকা। রাস্তায় মানুষ নেই। বেশিরভাগ প্রধান রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ। নেই কোলাহল, নেই উৎসবের আমেজ। অথচ প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে পুরো রাজধানী থাকে উৎসবমুখর। ভোর থেকে হাজা হাজার মানুষ ছুটে চলে জাতীয় স্মৃতিসৌধের দিকে। এরপর সারাদিন উৎসব চলে শাহবাগ, টিএসসি, রমনা পার্ক, রবীন্দ্রসরোবার, ধানমন্ডি লেক, হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে সেই উৎসবমুখর পরিবেশ যেন শুধুই স্মৃতি।
আলাপকালে বেশ কয়েকজন বলেন, এমনটা হবে আমরা ভাবতেও পারিনি। করোনার জন্য গত বছর স্বাধীনতার উৎসব হয়নি। এবার তো সুবর্ণ জয়ন্তী। এবার তো সাধারণ মানুষকে উৎসব করতে দেয়া উচিত ছিল। আমাদের জীবদ্দশায় আর কি এমন দিন ফিরে পাবো?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। গতকাল স্বাধীনতা দিবসে সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে বিভিন্ন রুটের সব ধরনের গণপরিবহনও। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষদের। জানা গেছে, মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে চলাচলকারী অর্ধ-শতাধিক রুটের বাস বন্ধ রাখা হয়। এতে করে রাজধানীর উত্তরা, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল, প্রগতি সরণী, রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের প্রভাব পড়ে গোটা শহরেই।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখে গেছে, বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেরুল-বাড্ডা ইউলুপের সামনে, শাহজাদপুর, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। অন্যান্য গণপরিবহনকেও থামিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মোটরসাইকেল আরোহীদের চলতে দেয়া হয়নি। সদরঘাট থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন আক্তার হোসেন। জরুরি কাজ থাকার পরও তিনি উত্তরা যেতে পারেননি। তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও বাস পাইনি। তাই পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে হচ্ছে।
অবশ্য ঢাকা মহানগর পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের কারণে বিমানবন্দর সড়ক, বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, রাসেল স্কয়ার, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক, মিরপুর রোড, কল্যাণপুর, গাবতলি হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের নবীনগর এলাকায় সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে। মিরপুর-১০ নম্বরে শিকড় পরিবহনের চালক ইউনুস আলী বলেন, করবো। এখন গাড়ি বের করলে বন্ধ করে দেবে ট্র্যাফিক পুলিশ। তাছাড়া রাস্তায় মানুষজনও নেই। সে কারণে বের হইনি। শাহবাগ এলাকায় বেড়াতে আসা হারুন নামে এক ব্যক্তি বলেন, প্রতি বছরই এই দিনে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে টিএসসিতে আসি। যানবাহনের শুন্যতায় স্ত্রী-কন্যাকে আনার সাহস করিনি। একাই এসেছি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিদেশি একজনের নিরাপত্তার অজুহাতে গোটা রাজধানীবাসীকে এভাবে ঘরে আটকে রাখা ঠিক হয়নি। লাখ লাখ মানুষ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
মুগদার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক সারোয়ার আলম বলেন, রাজধানীতে আমরা অনেকটাই গৃহবন্দি থাকি। স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, বিজয় দিবসে আমরা সপরিবারে ঘর থেকে বের হই। আনন্দ করি। কিন্তু এবার নিরাপত্তার অজাহাতে সব বন্ধ। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। এই দিন তো আর ফিরে আসবে না।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগত বিদেশি ভিভিআইপিদের গমনাগমনের জন্য ২৬ ও ২৭ মার্চ (শুক্র ও শনিবার) ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কগুলোতে যানচলাচল নিয়ন্ত্রিত এবং কিছু কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। এ সাময়িক অসুবিধার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।