পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মহাবিজয়ের মহানায়ক প্রতিপাদ্যে নিয়ে দুই দিনব্যাপী বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন শুরু হয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিউনিউতে এখন বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। দীর্ঘ কয়েক বছর পরে মানুষ ঘুরতে বের হতে না পারলেও এ বিষয় দিবসে বের হতে পাওয়ায় অনেকই খুশি। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আমন্ত্রিত অতিথির পাশাপাশি উৎসুক সাধারণ মানুষও পরিবার নিয়ে এসেছেন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়। শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিরা সংসদ ভবনের ভেতরে নিরাপত্তা তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন।
এদিকে মানিক মিয়া এভিনিউতে অনেকেই সঙ্গে করে এনেছেন জাতীয় পতাকা। পতাকা হাতে নিয়েই ঘুরে ঘুরে দেখছেন। দুই দিনের অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে বিকাল সাড়ে ৪টায় এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ পাঠ করান। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় করেন। দেশের বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা স্টেডিয়াম, মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শপথ নেওয়া হয়। অন্যান্য স্থান থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান অনুসরণ করা হয়েছে।
সংসদ ভবন এলাকায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ফারজানা হাসান বলেন, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে অনুষ্ঠান হচ্ছে শুনলাম। সাজানো হয়েছে খুব সুন্দর করে। তাই পরিবার নিয়ে আসলাম দেখতে। সংসদের ভিতরে তো প্রবেশের সুযোগ পাবো না। বাইরে থেকে যতটুকু উপভোগ করা যায়। রাজধানীর উত্তরা থেকে আসা রোজিনা বলেন, আমরা প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর সংসদ ভবনের সামনে বকুল তোলায় আসি। সেখানে অনেক মানুষ আসে। তা ভাল লাগে। এবার সীমিত হলেও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে অনুষ্ঠান হচ্ছে শুনলাম। সাজানো খুব সুন্দর হয়েছে।
ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা জাকি হোসেন বলেন, অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে মানিক মিয়া এভিনিউর দুই পাশেই সাধারণ যান চলাচল বন্ধ। শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের জন্য সরবরাহকৃত স্টিকারযুক্ত গাড়ি প্রবেশ করতে পারছে এবং প্রধান সড়কের ওপরে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।