Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল আজকের বাংলাদেশ

আ স ম আবদুর রব | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২১, ৯:১৯ পিএম

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে অগণিত মানুষের আত্মদান বিশ্বে একটি বিরল ঘটনা। ফলে বিশ্ব ইতিহাসে বাঙালিদের জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র আবাসভূমি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ সংগ্রাম-লড়াইয়ের ফলেই অর্জিত হয়েছে আজকের বাংলাদেশ। বহু মানুষের অবদানে, বহু মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষায়, বহু মানুষের সাধনায় আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।

কোনো দেশের স্বাধীনতা কখনো একক কৃতিত্বে অর্জিত হয় না। বাঙালি জাতির রাষ্ট্র নির্মাণের দীর্ঘকালের সংগ্রাম-লড়াইয়ের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে।

নেতাজী সুভাষ বসু বাঙালির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেছিলেন, বাঙালির অনেক দোষ আছে, কিন্তু বাঙালির একটা গুণ আছে যাতে তার অনেক দোষ ঢাকা পড়েছে, যার ফলে সে আজ জগতের মধ্যে মানুষ বলে গণ্য। বাঙালির আত্মবিশ্বাস আছে, বাঙালির ভাবপ্রবণতা ও কল্পনাশক্তি আছে। তাই বাঙালি বর্তমান বাস্তব জীবনের সকল ত্রুটি, অক্ষমতা ও অসাফল্যকে অগ্রাহ্য করে মহান আদর্শ কল্পনা করতে পারে। সে আদর্শের ধ্যানে ডুবে যেতে পারে এবং আপাতদৃষ্টিতে যা অসাধ্য তা সাধন করার চেষ্টা করতে পারে। এই কল্পনাশক্তি ও আত্মবিশ্বাস আছে বলেই বাংলাদেশে এত সাধক জন্মেছে এবং ভবিষ্যতেও জন্মাবে। দুঃখ-কষ্ট ও অত্যাচারের চাপে বাঙালির মেরুদন্ড কখনো ভাঙবে না। যে জাতির আইডিয়ালিজম বা আদর্শ আছে, সে জাতি তার আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য যন্ত্রণা-ক্লেশ সানন্দে বরণ করে নিতে পারে।

বাঙালির এই লড়াকু বৈশিষ্ট্যের পাকিস্তান সৃষ্টির পর ৫২ সালেই রাষ্ট্রভাষার দাবিতে ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। একুশে ফেব্রুয়ারি বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতি রাষ্ট্র নির্মাণের বীজ বপন করে। এই আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২১ দফার ভিত্তিতে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী’র নেতৃত্বে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় এবং ৫৪ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিজয় লাভ করে। কিন্তু সরকার গঠনের পর যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের আন্দোলন প্রবলভাবে দানা বাঁধতে থাকে। রাজপথে বিক্ষোভ, অবরোধ, অসন্তোষ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ চলতে থাকে।

কোনো ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও নির্যাতন বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারেনি। ১৯৬৬ সালের গোড়ার দিকে লাহোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা কর্মসূচি পেশ করেন। ছয় দফা উত্থাপনের পর আইয়ুব খান গৃহযুদ্ধের এবং অস্ত্রের ভাষা প্রয়োগের হুমকি প্রদান করেন। আইয়ুব সরকার গ্রেপ্তার এবং দমননীতি প্রয়োগ করে। সরকারের দমননীতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটে পুলিশের গুলিতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের রাজপথ রঞ্জিত হয়। পরবর্তীতে সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিবাদে আইয়ুব বিরোধী গণবিক্ষোভে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান উত্তাল হয়ে ওঠে। আর এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দান করে ১১ দফার ভিত্তিতে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ১১ দফার ভিত্তিতে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়।

তখন থেকে উচ্চারিত হতো, ‘জাগো জাগো, বাঙালি জাগো’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, ‘জয় বাংলা’ এবং ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ এইসব উচ্চারণের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার চরম অভিব্যক্তির প্রকাশ পায়। ’৬৯ এর জানুয়ারি ছাত্রদের দুঃসাহসী প্রতিবাদ, ছাত্র-যুবকদের বীরবিক্রমে লড়াই, এবং বিরাট শোভাযাত্রায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা আসাদুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করায় আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ লাভ করে। এর পরিণতিতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বন্ধ হয় এবং আইয়ুব শাহীর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। শেখ মুজিবুর রহমান কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন।

বাঙালি জাতির তরফ থেকে বিশাল জনসমুদ্রে সিরাজুল আলম খানের পরিকল্পনায় কিংবদন্তি ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। পরবর্তীতে আন্দোলন-সংগ্রামে আইয়ুব খান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়ার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় গ্রহণ করেন। পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয় এবং জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থনের বিপরীতে পাকিস্তান সরকার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জাল বিস্তার করতে থাকে। নির্বাচনের পর থেকেই বাঙালি জাতির কাছে প্রতিটি প্রতিবাদ আন্দোলন আসন্ন সংগ্রামের সম্ভাবনায় বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত হয়ে ওঠে।

বাংলার মানুষের অধিকারকে পদদলিত করার জন্য, মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে কেড়ে নেয়ার জন্য ১ মার্চ পাকিস্তানি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। ইয়াহিয়া খানের এ ঘোষণার সাথে সাথে সারাদেশের ছাত্র-যুবক ও জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, ঢাকা শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত, দোকানপাট ও যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। সংগ্রামী জনতা বায়তুল মোকাররম এবং পল্টন ময়দানের দিকে আসতে থাকে; শেষ পর্যন্ত গোটা এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সংগ্রামী ছাত্র জনতা মুহুর্মুহু ধ্বনিতে অবিলম্বে স্বাধীনতা ঘোষণার দাবি জানাতে থাকে।

’৭১ এর পহেলা মার্চ দিবাগত রাতে নিউক্লিয়াসের নির্দেশে ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশ স্বাধীনতা উন্মুখ জনতার পক্ষে, নিউক্লিয়াসের পরিকল্পনায় আমি স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করলাম। পতাকা উত্তোলনের ঐতিহাসিক ক্ষণে অংশীদার হয়েছেন নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ ও আব্দুল কুদ্দুস মাখনসহ অন্যান্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ। পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে বিশাল জনসমুদ্রে স্বাধীনতাকামী মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। কারফিউ ভঙ্গ করে জনতার উত্তাল মিছিল অবিরাম চলতে থাকে। পরের দিন ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে এক বিশাল ছাত্র জনসভায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। ইশতেহারে বলা হয়, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন করে পৃথিবীর বুকে একটি বলিষ্ঠ বাঙালি জাতি সৃষ্টি ও বাঙালির ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পূর্ণবিকাশ এর ব্যবস্থা করতে হবে।

ইশতেহারে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ সংগীতটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। পাকিস্তানি পতাকা পুড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা ছিল মূলত স্বাধীনতারই ঘোষণা।

২ মার্চ পতাকা উত্তোলন এবং ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের পর ৭ মার্চ অনিবার্য হয়ে পড়ে। ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্র, লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে স্লোগানের জবাব বজ্রনির্ঘোষে। উদ্দীপ্ত জনসমুদ্রে জাতিকে সশস্ত্র সংগ্রামের নির্দেশনা সম্বলিত সুদূরপ্রসারী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু প্রেরণাদায়ী ভাষণ দান করেন। কোনো সুচিন্তিত পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া উপনিবেশ থেকে একটি জাতিকে স্বাধীন করার জন্য কখনো সশস্ত্র সংগ্রামের নির্দেশ দেয়া যায় না।

অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে সশস্ত্র সংগ্রামের ফসল হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের দীর্ঘ সংগ্রাম আন্দোলনে প্রকাশ্য রাজনীতির বাইরে নেপথ্যে বিরাট এক ঐতিহাসিক কর্মকান্ড আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসকে বেষ্টন করে আছে। লাগাতার ও নিরবিচ্ছিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পরিকল্পনা নিয়ে ১৯৬২ সালে গোপন সংগঠন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ বা ‘নিউক্লিয়াস’ এর জন্ম হয়েছিল সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে।

সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধকালীন তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রবাসী সরকারের অপরিসীম অবদান এখনো জাতির ইতিহাসে যথার্থভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সামরিক বিদ্রোহের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা, বিএলএফ ও কাদেরিয়া বাহিনীর কথা এবং অন্যান্য সংগঠনের অবদানের কথা এখনো ইতিহাসে উপেক্ষিত হয়ে আছে।

বিদ্যমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে আত্মসাৎ করে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার কৌশল অবলম্বন করেছে। প্রতিমুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। সরকার বর্তমানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের বিবেচনায় ’৭১ সালে গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধকে মূল্যায়ন করার অপচেষ্টা করছে। সমগ্র ইতিহাসকে সরকারি ইতিহাসে রূপান্তর করার ন্যক্কারজনক কাজে সরকার জড়িত হয়ে পড়েছে। সরকারি বয়ানে ইতিহাস বদল করা যায় না, এই সত্য ক্ষমতার মোহে সরকার উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমেদসহ যার যা অবদান তার স্বীকৃতি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নির্মাণ করতে হবে। জাতি গঠনের জন্য প্রকৃত ইতিহাস নির্মাণ খুবই জরুরি।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে জাতির সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলো, বর্তমান সরকার জনগণের ন্যূনতম সমর্থন ও সম্মতি নিয়ে গঠিত হয়নি। রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে রাতের আঁধারে ভোট চুরিতে সম্পৃক্ত করে জনগণের আত্মমর্যাদাকে বিক্রি করে দিয়ে ক্ষমতাকে সংহত করেছে বর্তমান সরকার। শুধু ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর যে বিনাশ করে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতের ইতিহাসে এই সরকারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। আশঙ্কার কথা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নৈতিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে, বেআইনি কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে, আইন বহির্ভূত কাজে উৎসাহী হয়ে পড়ে, তাহলে রাষ্ট্র ব্যর্থ হতে বাধ্য।
ভয়াবহ অপচয়, ভয়ঙ্কর দুর্নীতি ও নজিরবিহীন অপশাসনে জনগণের ক্ষোভ এবং বিদ্রোহ থেকে আত্মরক্ষার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। এর একমাত্র লক্ষ্য রাষ্ট্রের ভাবমর্যাদা রক্ষা নয়, জনগণের রোষানল থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখা। এ আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে চিরতরে রুদ্ধ করার কালো আইন। সরকারের ভোট চুরির সাথে লজ্জা চুরি হওয়াটা আরো ভয়ঙ্কর। সরকার অহরহ নির্বাচনে জনগণের ভোটে জয়লাভ করেছে বলে উল্লাস প্রকাশ করে। কিন্তু দেশের একজন মানুষেরও জানার বাকি নেই যে, রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে সরকার নির্বাচিত হয়েছে। তারপরও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়া, গণতন্ত্র রক্ষা করার কথা বলা এবং জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা জনগণের সাথে বড় ধরনের রসিকতা।
লেখক: সভাপতি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন