পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তিতে ভারতের সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গার মূলহোতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন এবং ঢাবি ক্যাম্পাসে মোদি বিরোধী মিছিলে হামলার প্রতিবাদে এবার ক্যাম্পাসে কালো পতাকা মিছিল করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়ায় শহীদ মিনার থেকে কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটি। সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইনের নেতৃত্বে কালো পতাকা মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যে ঘুরে সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। এতে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ‘গো ব্যাক গো ব্যাক, গো ইন্ডিয়া’ ‘সা¤প্রদায়িক মোদি, গো ব্যাক গো ব্যাক’ ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ ‘আমার বোন আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। মিছিল শেষে মঙ্গলবারের ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাস্থল ডাসের সামনে সমাবেশ করে ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাবেশ শেষে নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
সমাবেশে ঢাবি শাখার সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, ১৮ কোটি মানুষ মোদিকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাচ্ছে না, শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ মোদিকে স্বাগত জানাচ্ছে। যার একমাত্র কারণ গদী রক্ষা করা। এখন পর্যন্ত বাণিজ্যের যে অসমতা সেটা বন্ধ হয়নি, নির্বাচনসহ প্রত্যেকটা সেক্টরে ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধ হয়নি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। এত কিছুর পরও আমরা কিভাবে সন্ত্রাসী মোদিকে বাংলাদেশের মাটিতে স্বাগত জানাবো। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যদি মোদিকে বাংলাদেশে আনা হয় গদীসহ ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন বলেন, আমাদের শত্রুতা ভারতের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের শত্রুতা সা¤প্রদায়িক মোদির বিরুদ্ধে। যদি বাংলাদেশে মোদি আসে ছাত্র-যুব অধিকার পরিষদ প্রতিটা মোড়ে মোড়ে জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে।
সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন বলেন, মোদির মতো একজন সা¤প্রদায়িক ব্যক্তি, যার হাতে লেগে আছে মুসলমানদের রক্ত তাকে আমরা ওয়েলকাম জানাতে পারিনা। মোদিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা মানে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় আঘাত হানা, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা। মোদির মতো সা¤প্রদায়িক দাঙ্গাবাজকে এনে আমাদের স¤প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এটা আমরা মেনে নিতে পারিনা। কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে তারা ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদিকে একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত করেছে! আমরা বলতে চাই, এই অনুষ্ঠান যদি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান হয় তাহলে এই অনুষ্ঠানে জনগণের অংশগ্রহণ কোথায়? আজকে সারা বাংলাদেশে দেখেন এই আওয়ামী লীগের চান্ডা পান্ডা ছাড়া জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নাই। এ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় এটা বাংলাদেশের কোন সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান নয়, এটা আওয়ামী লীগের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান! শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী এসেছে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট এসেছে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী এসেছে, এতে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যেই ব্যক্তির হাতে আমার বোন ফেলানীর লাশের গন্ধ এখনও লেগে রয়েছে, গত ১০ বছরে সীমান্তে ১২৩৬ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যেই ব্যক্তির হাতে আমাদের তিস্তা সমস্যা এখন পর্যন্ত ঝুলে রয়েছে, যেই ব্যক্তির হাতে আমার এই রোহিঙ্গা সমস্যা ঝুলে রয়েছে এই ব্যক্তিকে বাংলাদেশের জনগণ কেন বাংলাদেশের কাক পক্ষীও ওয়েলকাম জানাবে না। প্রয়োজনে ১৯৭১ সালের মতো আবারও রক্ত দেয়া হবে, তবুও মোদিকে বাংলাদেশে ওয়েলকাম জানানো হবেনা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।