বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুক্তিপণ না পেয়ে গাজীপুর মহানগরের গাছা থেকে দুই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপর শিশুর লাশ উদ্ধারের বালু নদীতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।
জিএমপি গাছা থানা পুলিশ জানায় অপহরণে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন, শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার পুটিয়া গ্রামের মৃত জব্বার সর্দারের ছেলে আলী আকবর (২৪) ও জিএমপি গাছা থানার দক্ষিণ খাইলকুরের মকবুল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০)।
জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ১১টার দিকে তিন বছরের ছেলে শিশু নিহাদ অপহরণ হয়। নিহাদের মা নার্গিস সততা মিনি সোয়েটার নামের একটি সাব-কন্ট্রাক কারখানায় চাকরি করেন। ঘটনার সময় নিহাদ ওই কারখানার গেটে খেলা করছিল। এ সময় সেখান থেকে অপহরণ হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত শিশুর বাবা গার্মেন্টস শ্রমিক হানিফ আলী গাছা থানায় মামলা করেন। পরে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অপহরণকারীকে দেখা গেলেও তাকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে অপহরণের তিন দিন পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন তিনতালা বিল্ডিংয়ের পানির ট্যাংকির ভেতর থেকে নিহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ দিকে গত ৯ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় গাছা থানাধীন একটি গার্মেন্টসের পেছন হতে সুমাইয়া আক্তার সুমু ওরফে রুবা নামে দুই বছর আট মাসের আরেকটি শিশু অপহৃত হয়। অপহরণকারীরা শিশু রুবার বাবার কাছে মোবাইল ফোনে পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ চায়। এ ঘটনায়ও গাছা থানায় পৃথক আরেকটি মামলা হয়।
অবশেষে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য আকবরকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। আকবরের দেয়া তথ্যে তার খালাতো ভাই আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা এ দুটি অপহরণের দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
আনোয়ার ও আকবর জানায়, শিশু রুবাকে মেরে বস্তায় ভরে তুরাগের শাখা বালু নদীতে স্থানীয় নিমতলী ব্রিজের ওপর থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে শিশু হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে তারা এ দুটি শিশুর জামা-কাপড়ের সন্ধান দেয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, শিশু দুটির পরিবারকে এসব জামা-কাপড় দেখিয়ে তারা মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করছিল।
জিএমপি ডিসি ইলতুৎ মিশ আরো জানান, তারা রুবার লাশ এখনো খুঁজে পায়নি। লাশটি উদ্ধারের জন্য দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় বালু নদীতে তল্লাশি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।