মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তিনদিনের ভারত সফরে গেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। বাইডেন প্রশাসনের একদম প্রথমসারির কোনো কর্মকর্তা এই প্রথম ভারতে গেলেন। ভারত-চীন বৈরিতার মধ্যে তার এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড শনিবার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্রয়ের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। অস্টিন জানিয়েছেন, মার্কিন মিত্রদের রুশ সামরিক সরঞ্জাম এড়িয়ে চলা দরকার। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
নয়া দিল্লিতে অস্টিন বলেন, আমরা অবশ্যই সব মিত্রকে আহ্বান জানাই রাশিয়ার সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকার জন্য। আমাদের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে যে কোনও অস্ত্র কেনা এড়িয়ে চলা উচিত।
তিনি জানান, ভারত এখনও কোনও এস-৪০০ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্যতা বৈঠকে আলোচিত হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন শুক্রবার বৈঠক করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সে বৈঠকেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের একাধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা রুখতে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মোদি। শনিবার দ্বিতীয় দফায় অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স মার্কিন কর্মকর্তাদের সূত্রে জানিয়েছে, মার্কিন প্রশাসন ভারতকে যে সতর্ক করেছে তার অর্থ হচ্ছে যদি ভারত রাশিয়া থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমদানি করে তাহলে তাদেরকে তুরস্কের মতো একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় সম্প্রতি ন্যাটো মিত্র তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়া থেকে বিশ্বের উন্নততর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে ২০১৮ সালে চুক্তিতে সম্মত হয় দিল্লি-মস্কো। চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যেই এর প্রথম চালান ভারতের হাতে পাওয়ার কথা।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ভারত যদি এই চুক্তি বাতিল করে তবে দুই দেশের মধ্যকার চলমান কূটনৈতিক টানাপড়েনের অবসান ঘটতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আমরা আমাদের সমস্ত বন্ধু এবং মিত্র দেশকে রাশিয়ার সাথে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। কারণ এতে সেসব দেশের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে যে আইন পাস হয়েছে তাতে কোন দেশকে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।