পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদালতের নির্দেশনার পরও অবৈধ ইটভাটা বন্ধ না করায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ৩ জনের প্রতি আদালত অবমাননা রুল জারি হয়েছে। বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রুল জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটের কৌঁসুলি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদশ (এইচআরপিবি)র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এ বিষয়ে ইনকিলাবকে তিনি জানান, আদালত নির্দেশনা দেয়ার পরেও কয়েক দফা সময় নিয়ে চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়নি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগই দেন নি। বিষয়টির প্রতি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি), পরিবেশ অধিদফতর, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদেশের এই কপি হাতে পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে আগামী ৮ এপ্রিল পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যেসব ইটভাটা কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে তাদের তালিকা দিতে বলা হয়। গত ৩১ জানুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক(ডিসি) ও পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকের প্রতি আবার একই নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে ইটভাটার মালিকরা আপিল বিভাগে করেন আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ চান। তবে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ দেন নি। তারপরও এসব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে দুই-দুইবার সময় নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সময় দিয়ে আদালত আজ আদেশের জন্য রেখেছিলেন।
বৃহস্পতিবার আবার জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সময় আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত তাদের সময় না দিয়ে আমাদের আবেদনের প্রিক্ষিতে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, হাইকোর্টের আদেশের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক একটি কর্মসূচি তৈরি করে ইটভাটা বন্ধের জন্য একজন নির্বাহী হাকিম নিয়োগ দেন। এদিকে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে হাই কোর্টের আদেশের স্থগিত বা স্থিতাবস্থা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন চট্টগামের লোহাগাড়ার অবৈধ ১১ ইটভাটার মালিক।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি এসব আবেদন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেফ না করে আবেদনগুলো শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। আগামী ১৬ আগস্ট শুনানির তারিখ রয়েছে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশে হস্তপেক্ষপ না করলেও সেই রায় বাস্তবায়নে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায় নির্বাহী হাকিম এসএম আলমগীর ও জিল্লাহর রহমানের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করে এইচআরপিবি। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্ট ফের আদেশ দেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয় ওই আদেশে। কিন্তু আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মত সময় চায়। ওইদিন আদালত সময় মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ পরবর্তী আদেশের জন্য রাখেন।
এদিনে আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ,সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী এবং পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ কামরুল হোসেন কিরণ শুনানি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।