Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটায়

প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের সাহেবখালী, কৈলাইল, চালনাই, ময়মন্দি, তিতপালদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ ইটাভাটা। সেই ভাটার ইট তৈরিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলী জমির মাটি। দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ফসলী জমির মাটি কেটে তৈরি হচ্ছে এসব ইট। এতে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে শস্য উৎপাদনে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। কাগজপত্রের তোয়াক্কা না করেই কাজ করছে কয়েকজন মালিক। স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে অবাধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে ভাটা মালিকরা। সরেজমিনে ইটাভাটা ঘুরে জানা যায়, দোহার নবাবগঞ্জের সীমানাবর্তী সাহেবখালী এলাকা, চালনাই, ময়মন্দি, তিতপালদিয়া ও কৈলাইলে গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় খেয়াল খুশি মতো ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের চোখে ধুলা দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে একটি চক্র। কিন্তু এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কোনো খবরই রাখছে না। ইটভাটার নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র। এরপর সরকারি মাটি দিয়েই কাজের সেরে নিচ্ছে। তাদের কাছে এসব অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সাহেবখালি এলাকার আব্দুল কুদ্দুস জানান, ক্ষমতার জোরে ভাটার মালিকরা সবাইকে সামলে নিয়ে এসব কাজ করছে। নিষিদ্ধ নসিমন করিমনের ধোঁয়া ও বিকট শব্দে পরিবেশে দুষণ ঘটছে। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে কষ্ট হচ্ছে। তিতপালদিয়া ইটভাটার অংশীদার মো. উজ্জ্বল বলেন, তারা পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। কয়েক বছর ধরে ইট পোড়ালেও তাদের কোনো ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়নি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ভুল হয়েছে। কৃষি জমির মাটি ভাটায় পোড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, মাটি অন্যরা কাটছে। তারা সেখান থেকে ক্রয় করে নিচ্ছে। নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল আমীন বলেন, এ বিষয়ের সরকারি নীতিমালা রয়েছে। থাকলেও এ পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল আহসান বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিলো না। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটায়
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ