Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরবনে ২৩টি ডিম দিয়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২১, ৭:৫৭ পিএম

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আবারও ডিম দিয়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকা। শনিবার সকালে বন্যপ্রাণী কেন্দ্রে কচ্ছপ লালন-পালন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে একটি কচ্ছপ ২৩টি ডিম দিয়েছে। ডিমগুলো ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিন শেষে এই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে।

এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি কচ্ছপ ২৭ টি, ৩ মার্চ আরেকটি কচ্ছপ ২৩টি, এবং ৫ মার্চ অন্য একটি কচ্ছপ ২৩ টি ডিম পাড়ে। এই নিয়ে ২০২১ সালে চারটি কচ্ছপ ডিম দিল। এ বছর আরও দুটি কচ্ছপ ডিম পাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবনের করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির।

আজাদ কবির বলেন, বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির এই কচ্ছপ আমরা খুব গুরুত্বের সাথে লালন পালন করি। বংশ বৃদ্ধির জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজরে রাখছি। এর আগে আমাদের এখানে কচ্ছপ ডিম দিয়েছে। সেই ডিম থেকে বাচ্চাও ফুটেছে। সকালে একটি কচ্ছপ ২৩টি ডিম দিয়েছে।সেই ডিম গুলো থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ইনকিউবেটরে রেখেছি। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে। বর্তমানে আমাদের এখানে ৩ শতাধিক কচ্ছপ রয়েছে।

২০০০ সালের গবেষণায় বন্যপ্রাণী গবেষকরা মনে ধারণা করেছিলেন পৃথিবীতে আর বাটাগুর বাসকার কোন অস্তিত্ব নেই। পরে ২০০৮ সালে গবেষকরা প্রকৃতিতে বাটাগুর বাসকা আছে কিনা তা খুঁজতে শুরু করেন। খুঁজতে খুঁজতে নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে ৮টি বাটাগুর বাসকা পান। যার মধ্যে ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। প্রজননের জন্য গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কচ্ছপগুলোকে। বনবিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্তরা নিবিড়ভাবে লালন পালন ও প্রজননের চেষ্টা করেন বাটাগুর বাসকা গুলোকে। তারপরও তেমন সাফল্য পাওয়া যায়নি। তবে কয়েক বছরে গাজীপুরে প্রায় ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল ৮টি মা কচ্ছপ। সেখানে ভাল সারা না পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ