মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশের পাঁচ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার (চার হাজার ২৫০ কোটি টাকা) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গত বুধবার রাতে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড সহজ শর্তে বাংলাদেশকে এই ঋণ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের ‘প্রথম ধাপে ৪০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা›র পরিকল্পনার মধ্যে ৩১ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের আওতায় আনতে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংকের ‘কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেওয়া অতিরিক্ত এই অর্থায়ন। এই অর্থায়ন নিরাপদ ও কার্যকরী ভ্যাকসিন কিনতে, দেশের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ সুবিধা বাড়াতে ও বিতরণে সরকারকে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরুর মাধ্যমে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশ দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্য অর্জনে মানুষের দ্রুত ও সাম্যতার সঙ্গে ভ্যাকসিন পাওয়া জরুরি। বিশ্বব্যাংকের এই অর্থায়ন জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ জনগণের জন্য দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
প্রকল্পটি কোভিড-১৯ সংক্রমণ চিহ্নিত করা, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং একইসঙ্গে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এ ছাড়া, একটি সফল টিকাদান কর্মসূচির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং টিকা পরীক্ষায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়াবে। এই অর্থায়ন দেশের জনগণের প্রায় ২০ শতাংশের জন্য গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটির (কোভ্যাক্স) মাধ্যমে প্রাপ্ত টিকা দেওয়ার ব্যয় বহন করবে। বাকি ১১ শতাংশ মানুষের জন্য এই অর্থায়ন, উৎপাদকের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় অথবা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া টিকার ব্যয়ভার ও টিকা প্রদানের ব্যয় বহন করবে। এর বাইরে সরকার নিজস্ব সম্পদের মাধ্যমে দেশের নয় শতাংশ মানুষের জন্য টিকার ব্যয়ভার বহন করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ও প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার ইফফাত্ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি ব্যবস্থাপনায় সুদীর্ঘ ও সফল অভিজ্ঞতার আলোকে এই অর্থায়ন সেই সমস্ত মানুষের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যাদের টিকার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া, প্রকল্পটি টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন ও জেলা পর্যায়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র সম্প্রসারণে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
অতিরিক্ত এই অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াল ৬০০ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) এই প্রকল্পে ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করছে।
বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে ৩০ বছর মেয়াদি এই ঋণে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড (কিস্তি অব্যাহতির সময়কাল) রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান আইডিএ কর্মসূচির সর্বাধিক অর্থায়ন রয়েছে, যার পরিমাণ ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সহায়তায় এগিয়ে আসা প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের অন্যতম এবং এদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান এবং সুদবিহীন ও নমনীয় কনসেশনাল ঋনের প্রতিশ্উতি দিয়েছে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকার জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ধাপে যে তিনটি দেশকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অর্থায়ন ও জ্ঞানের অন্যতম বৃহৎ উৎস বিশ্বব্যাংক কোভিড-১৯’র স্বাস্থ্যগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় এসব দেশের সহায়তায় বিস্তৃত ও দ্রুত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য কোভিড-১৯ টিকা ক্রয় ও বিতরণ, পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকাদান ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ১২ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা। এই সহায়তা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সামগ্রিকভাবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বিস্তৃত কর্মসূচির অংশ যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার, দরিদ্র মানুষের সহায়তা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জীবিকা নির্বাহ ও কর্মসংস্থানের জন্য সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করতে ১০০টির বেশি দেশকে সহায়তা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।