পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গুজরাটের কসাই খ্যাত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিনের সামনে তারা এ ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে মোদির আগমন ঠেকাতে প্রতিবাদী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৯ মার্চ বিকাল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে মোদি বিরোধী সমাবেশ ও মিছিল এবং ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় মশাল মিছিল।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ। তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত শাসকগােষ্ঠী জনগণকে বিচ্ছিন্ন রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের হাক ডাক দিচ্ছে। এমতবস্থায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিবেকবান মানুষ ও রাজনৈতিক দলসমূহ। প্রতিবাদ ঠেকাতে ডিএমপি’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার-১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলসমূহকে কর্মসূচি না করার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসাথে অনুরোধ উপেক্ষা করে যারা কর্মসূচি পালন করবে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর হস্তে দমন করার হুশিয়ারী দিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের এই রকম কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
নরেন্দ্র মোদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমন্ত্রণ জানানো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীনহীনভাবে বলতে চাই, মোদির আগমনের প্রতিবাদ জানানো আমাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। বরং ভারতের দাঙ্গাবাজ, সা¤প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমন্ত্রণ জানানো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। এই নরেন্দ্র মোদির হাতে এখনো গুজরাটের হাজার হাজার মানুষের রক্তের দাগ লেগে আছে। গতবছর দিল্লী কিলিংয়ের ঘটনায় মোদি সরকারের নির্দেশে ঘটেছে। মানবতাবিরোধী নাগরিকত্ব আইন করে আসাম ও পশ্চিম বাঙলা থেকে কয়েক লক্ষ বাঙালী জনগণকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার আয়োজন করেছে মোদি সরকার। প্রবলভাবে সা¤প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়ার পাশাপাশি ভারতের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সমন্ত আন্দোলনকে কঠোরভাবে দমন করছে। সা¤প্রতিক কৃষক আন্দোলনে আমরা মোদি সরকারের ফ্যাসিস্ট রুপ দেখেছি।
এতে আরও বলা হয়, আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠী কথায় কথায় ভারতকে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করে। অথচ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রায়শই ভারতের বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশের জনগণকে হত্যা করছে। এসব হত্যার কোনো বিচার হচ্ছে না। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ এখনো পায়নি। তিস্তা চুক্তির কথা থাকলেও দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। নদী, বন্দর, সুন্দরবন-সমন্ত কিছু ভারতীয় আগ্রাসনের শিকার। এমনকি ভারত বাংলাদেশের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ ব্যাপারেও হস্তক্ষেপ করছে।
মোদির আগমনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের যে আকাঙ্খার যে বাংলাদেশ সে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে-দাঙ্গাবাজ, সা¤প্রদায়িক মোদির অংশগ্রহণ, গৌরবোজ্জ্বল সে ইতিহাসের সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা তা হতে দিতে পারি না। মোদির মতো একজন সা¤প্রদায়িক দাঙ্গাবাজের কোনোভাবেই স্থান হতে পারে না। বাংলাদেশের সমস্ত শ্রেণী পেশার মানুষকে ভারতীয় আগ্রাসন ও সা¤প্রদায়িক মোদির আগমনের বিরুদ্ধে সােচ্চার হওয়ার আহবান জানাই। একইসাথে আওয়ামী সরকারের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাই। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি জাহিদ সুজন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিক অনিক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয়, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিপুল চাকমা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।