Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গর্ভকালীন থাইরয়েডের সমস্যা

| প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০৭ এএম

থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখে আক্রান্ত মহিলা যদি ঠিকভাবে চিকিৎসাধীন থাকেন তা হলে তাঁর গর্ভাবস্থা সামাল দেয়া কঠিন নয়- আশঙ্কাজনকও বলা যায় না। হাইপোথাইরয়েডিজম যে মহিলার আছে তাঁদের চিকিৎসা করা হয় থাইরক্সিন দিয়ে। চিকিৎসাধীন মহিলার সাধারণত বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হয় না বা তাঁদের সদ্যোজাত শিশুরও জন্মগত অস্বাভাবিকত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণের ভয় থাকে না। গর্ভবতী মহিলার হাইপোথাইরয়েডিজম যদি চিকিৎসা না করা হয় বা ধরা না পড়ে তা হলে সন্তান ধারনে অক্ষমতা আসতে পারে। তাছাড়া অকাল গর্ভপাতও হয়ে যেতে পারে। হাইপার থাইরয়েডিজমের চিকিৎসা করা হয় সাধারণত কারবিমাজোলজাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে। এই ওষুধ গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করে না, কিন্তু এটি প্ল্যাসেন্টা বা ফুল অতিক্রম করে শিশুটির শরীরে অস্থায়ী হাইপোথাইরয়েডিজম সৃষ্টি করতে পারে। শিশুটির ক্ষেত্রে এ জন্য অনেক সময় আলাদা চিকিৎসা দরকার হয় না- চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়।

থাইরয়েড রোগ প্রতিরোধ
ক) আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া ও রেডিয়েশন থেকে মুক্ত থাকা, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়।
খ) হাইপার, হাইপো বা থাইরয়েড প্রদাহজনিত কোনো লক্ষণ দেখা দিলে শিগগিরই রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া।
গ) ঘ্যাগ বা অন্য কোনো কারণে থাইরয়েড বড় হয়ে গেলে বা ক্যান্সার হলে সার্জারির মাধ্যমে কেটে ফেলা।
ঘ) যাদের বংশগত থাইরয়েড সমস্যার ইতিহাস আছে তাদের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা।
ঙ) কোনো শিশুর বা বয়স্কদের অবর্ধন শারীরিক ও মানসিক, ঠান্ডা বা গরম সহ্য করতে না-পারা, বুক ধড়ফড় করা, খাওয়া ও রুচির সঙ্গে ওজন কমা ইত্যাদি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

ডাঃ শাহজাদা সেলিম
সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ
Email: [email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: থাইরয়েড-সমস্যা
আরও পড়ুন