২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
এই সিনড্রোমের অপর নাম লেপ্টোস্পাইরোসিস। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া লেপ্টোস্পাইরা দিয়ে অসুখটি হয় বলে এর নাম লেপ্টোস্পাইরোসিস। লেপ্টোস্পাইরা কিন্তু প্র্নাীকেও আক্রান্ত করতে পারে। বিজ্ঞানী ওয়েল প্রথম এ অসুখের বর্ণনা দেন। বাংলাদেশের অনেক মানুষই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারন এই জ্বর। এদের অনেকের এই জ্বরের নাম ফিভার অব আননোন অরিজিন বা যে জ্বরের কোন কারন খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারন খুজে না পাওয়াদের একটা অংশ লেপ্টোস্পাইরোসিসে ভুগছে।
লেপ্টোস্পাইরোসিস প্রানী থেকে মানুষে ছড়ায়। পাঁচ ধরনের লেপ্টোস্পাইরা ব্যাকটেরিয়া আছে। এই ব্যাকটেরিয়া প্রানীকে আক্রমন করে। আক্রান্ত প্রানীর প্রস্রাব যদি সুস্থ মানুষের সংস্পর্শে আসে তবে ওয়েলস্ সিনড্রোম দেখা দেয়।
উপসর্গঃ
১। জ্বর।
২। কাঁপুনি।
৩। মাথা ব্যথা।
৪। মাংসপেশীতে ব্যথা।
৫। বমি।
৬। জন্ডিস।
৭। পেট ব্যথা।
৮। ডায়রিয়া।
৯। ফুস্ফুড়ি।
১০। চোখ লাল হওয়া।
খুব বেশী জটিলতা হলে লিভার ও কিডনী ফেইলিউর হতে পারে।
রোগ নির্ণয়ঃ রক্তে এবং সিএসএফ এ পরীক্ষা করে লেপ্টোস্পাইরা পাওয়া গেলে রোগ নির্ণয় নিশ্চিত ভাবে করা যায়। ৭-১০ দিন পর প্রস্রাবে জীবানুটি পাওয়া যায়। লিভার ও কিডনী ফাংশন টেস্ট করা হয়। লিভার ও কিডনীর অবস্থা জানার জন্য।
এলাইজা এবং পিসিআর এর মাধ্যমে বর্তমানে দ্রুত এবং নিশ্চিতভাবে ওয়েলস্ সিনড্রোম ডায়াগনসিস করা যায়।
লেপ্টোস্পাইরোসিস অসুখের সাথে বেশ কিছু অসুখের মিল আছে। ডেঙ্গু, টাইফয়েড, মেনিনজাইটিস, ম্যালোরিয়া, হেপাটাইটিস ইত্যাদি রোগের উপসর্গের সাথে এর অনেক মিল পাওয়া যায়। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবেই রোগটি আলাদা করা যায় ও নির্ণয় করা যায়।
ওয়েলস্ সিনড্রোমের চিকিৎসা এন্টিবয়োটিক দিয়ে করা হয়। সেফোটেক্সিম, ডক্সিসাইক্লিন, পেনিসিলিন, এমপিসিলিন, এমক্সিসিলিন ইত্যাদি এন্টিবাটিক এই সিনডোমে ভাল কাজ করে। ২০০ মিলি গ্রাম ডক্সিসাইক্লিন সপ্তাহে ১ বার খেলে এর প্রতিরোধ সম্ভব। খুব কম ক্ষেত্রেই স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়।
কিছু দেশে এই অসুখের ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। কিউবা ও চিনে এই অসুখের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। যেহেতু বিভিন্ন প্রাণী থেকে অসুখটি ছড়ায় তাই প্রাণীদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত। তবে এটি শতভাগ কার্যকরী নয়।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।