মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে চীনের কয়েকটি কারখানায় বিক্ষোভকারীদের অগ্নিসংযোগের পর শহরটির দু’টি শিল্পাঞ্চলে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। দেশটির আইন-শৃঙ্খলবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিনের পর সোমবার এই সামরিক আইন জারি করা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে খবর রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের লাইংথাইয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলায় এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কয়েকটি অংশে মার্শাল ল জারি করা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর রোববারই দেশটিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এদিন দেশটির বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ গেছে অন্তত ৫৩ জন অভ্যুত্থানবিরোধীর। এছাড়া সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পরদিন সোমবারও সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মিয়ানমারবাসী। এই বিক্ষোভেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুড়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুইজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেশটির আটক গণতান্ত্রিক নেতা অং সান সু চির সমর্থকরা মান্দালয়ে এবং কেন্দ্রীয় শহর মইঙ্গিয়ানের প্রধান শহরে আবার মিছিল করেন। এই মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়।
রোববার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ইয়াঙ্গুনের লাইংথাইয়া শিল্প এলাকাতেই নিহত হন ৩৭ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে আরও ১৬ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারান।
এদিকে ঘটনার পর মিয়ানমারে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা লাইংথাইয়ায় পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগ করলে অনেক চীনা কর্মী আহত হয় ও আটকে পড়ে। এ অবস্থায় চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের সম্পদ ও নাগরিকদের রক্ষায় মিয়ানমারের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, চীনকে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবেই দেখছে বিক্ষোভকারীরা। এ কারণে অভ্যুত্থানের পর থেকে দানা বেঁধে ওঠা বিক্ষোভে ব্যাপক চীনবিরোধী মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমারের রাজনৈতিক বন্দিদের সহায়তায় কাজ করা অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিসনারসের (এএপিপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় আরও ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের বাইরে এক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন।
ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া দেশটির অন্যতম শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত; যেখানে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রান্তের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিকের বসবাস। রোববার সেখানে বিক্ষোভকারীরা চীনা অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করলে নিরাপত্তাবাহিনী গুলিবর্ষণ করে। এ সময় হ্লাইংথায়ার আকাশ কারখানার আগুনের কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন আলোকচিত্রী বলেন, ‘এটি ভয়াবহ দৃশ্য ছিল। আমার চোখের সামনেই মানুষকে গুলি করা হয়েছে। এটি আমার স্মৃতি থেকে কখনই মুছে যাবে না।’ সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।