মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর বাঁধ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এছাড়াও পরবর্তী পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ব্রহ্মপুত্রের ওপর একাধিক প্রজেক্ট চালু করতে চলেছে বেজিং। সেই খসড়া ইতিমধ্যেই পাস হয়েছে। ভূতাত্ত্বিকগত অবস্থানের হিসেবে চীন ৫০টিরও বেশি পানিপথ বা নদীধারার উৎস। চীনের কাছে ৭৩৯ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পরিমাণ পানিসম্পদ রয়েছে। সেই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে চীন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদের যে অংশ রয়েছে, সেখানে বিশাল বাঁধ নির্মান করা হবে। এতে সমস্যা বাড়বে ভারতের।
চলতি বছরেই কাজ শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে চিনের পঞ্চবার্ষিকীর খসড়ায়। এ নির্মাণ কাজে ভারত বিপাকে পড়বে, কারণ নিজেদের অংশে বাঁধ নির্মাণ করলেও ব্রহ্মপুত্র অরুণাচল প্রদেশ, আসামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। যদিও এর উৎস তিব্বতে। তিব্বতের মেডগ কাউন্টির কাছে এ বাঁধ তৈরি হবে। মেডগ কাউন্টি থেকে অরুণাচল প্রদেশের দূরত্ব খুব বেশি নয়। ফলে সমস্যা বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইয়ারলাং জাংবো নদীর (যা আসামে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত) ওপরে বাঁধ নির্মাণ করা হলে কমে যাবে নদের পানিস্তর ও গতি। সরাসরি এর প্রভাব পড়বে ভারতে। পাওয়ার কর্পোরেশন কর্প অফ চায়নার চেয়ারম্যান ইয়ান ঝিয়ং জানান, ২০৬০ সালের মধ্যে সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। এ পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে উপকৃত হবেন হাজার হাজার মানুষ। কার্বন উৎপাদনের পরিমাণ কমাতেই এ প্রজেক্টের সূচনা বলে চীনা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্রের ওপর নির্মিত অরুণাচল প্রদেশের পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তিব্বতে এ ব্রহ্মপুত্রের ওপর বাঁধ নির্মাণ করলে নদীর পানি তার নিজস্ব গতিতে ভারতে ঢুকবে না। নদীর পানি আটকেও দেওয়া হতে পারে। এর ফলে ভারতের যেসব রাজ্যের ওপর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র প্রবাহিত হয়েছে সেই রাজ্যগুলিতে পানির কষ্ট দেখা দিতে পারে। সূত্র : কোলকাতা২৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।