পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুড়িগ্রামের উলিপুরে হঠাৎ করে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, নদী তীরবর্তী মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি। গত কয়েকদিনে দুইটি মসজিদসহ প্রায় শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, গাছপালা ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে, হাট-বাজারসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।
সরেজমিনে গতকাল বুধবার উপজেলার বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম বজরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তিস্তার ভাঙনে পুরাতন বজরা জামে মসজিদটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী মসজিদটির অবকাঠামো ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। একই অবস্থায় পশ্চিম বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
ওই এলাকার সবুজ মিয়া, সহিদুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, মাঈদুল ইসলামসহ অনেকে জানান, অব্যাহত নদী ভাঙনের কারণে ভিটে-মাটি, গাছপালা ও ফসলি জমি হারিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন। নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলেও সময়মত কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রতি বছর নদী ভাঙনে সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদী তীরের মানুষ।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন বাবলু জানান, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টির পানিতে গত কয়েকদিনে ইউনিয়নের পশ্চিম বজরা এলাকায় তিস্তায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে পুরান বজরা জামে মসজিদ, ভাঙনের মুখে পশ্চিম বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ভেঙে নেয়া হচ্ছে। ৫০ থেকে ৬০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে পুরান বজরাহাট, পশ্চিম বজরা দাখিল মাদরাসা, বজরা বাজার থেকে পুরান বজরা যাওয়ার এলজিইডি নির্মিত পাকা সড়ক।
তিনি আরও জানান, সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃক সদ্য নির্মিত পাকা রাস্তার ভাঙন শুরু হয়েছে। এছাড়া ভাঙনের মুখে রয়েছে চর বজরা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চর বজরা পূর্ব সাব বাঁধটি (বেড়িবাঁধ) ভেঙে যাওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি হবে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নে নদী ভাঙন দেয়া দিয়েছে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে ৩০টি বাড়ি ও মোল্লারহাট জামে মসজিদটি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে ক্ষুদিরকুটি উচ্চ বিদ্যালয়, বেগম নুরনাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকশত বাড়ি ঘর।
এছাড়া বজরা ইউনিয়ন সংলগ্ন গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের লকিয়াপাড়া গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর, গাছপালা ও ফসলি জমি তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকি মুখে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাশিমবাজার হাট ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান, বজরা ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উলিপুর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মো. রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ভাঙনের বিষয়গুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কাশিম বাজার ও সাহেবের আলগা এলাকার নদী ভাঙনরোধে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে। ভাঙনকবলিত বজরা ইউনিয়ন পরিদর্শনের জন্য অফিস থেকে লোক পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।