বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোম্পানীগঞ্জে মির্জা কাদের ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আলাউদ্দিনের পরিবারের মামলা পুলিশ নিচ্ছনা বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। এ জন্য অসহায় পরিবারটি সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শুক্রবার ৬টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামে নিহতের নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করে নিহতের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা মরিয়মের নেছা ও ছোট ভাই এমদাদ হোসেন, এ হত্যাকান্ডের জন্য বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জাকে দায়ী করে হত্যাকান্ডে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও নিহতের পরিবারের হত্যা মামলা পুলিশ রুজু না করায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নিহতের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় মামলা নিয়ে আমি থানায় যাই। পরে আমি মামলার স্লিপটি ওসি সাহেবকে দিছি। ওসি সাহেবকে দেওয়ার পর, প্রথম আসামি তারা মির্জার নামটা দেখার পর ওসি সাহেব বলে মির্জার নামটি কেটে দিলে তারা মামলা দিবে। কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করায় পুলিশ মামলা নিচ্ছেনা। এখন থানায় মামলা রুজু না করায় নিহতের পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করবে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আলা উদ্দিনের হত্যার অভিযোগে মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে নিহতের ভাই মামলা দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে সিএনজিচালক আলা উদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে এই এজাহার দায়ের করেন।
তবে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘মামলা রেকর্ড হয়নি। এজাহারে সমস্যা আছে। ওনাকে বলা হয়েছে। পরে উনি ঠিক করে আনবেন বলেছেন।’
এ মামলায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই কাদের মির্জাকে ১ নম্বর আসামি এবং তার ভাই সাহাদত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মামলার বাদীও আতঙ্কে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেমে থেমে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের অনুসারীরা বসুরহাট বাজারের বিভিন্নস্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ সিএনজি চালক ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মো. আলাউদ্দিন (৪০) মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।