বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের বিবদমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশা চালক আলা উদ্দিন (৩২) নিহতের ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (হত্যা মামলা) দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নিহতের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০জনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগটি দিয়েছেন। মামলায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাসিককে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামী মির্জা কাদেরের নেতৃত্বে অন্য আসামীরা পিস্তল, শর্টগান, পাইপগান, রামদা, লোহার রড নিয়ে অর্ধশতাধিক ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং প্রতিবাদ সভায় হামলা চালায়। এসময় মামলার চার নং আসামী নাজিম উদ্দিন বাদল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলা উদ্দিনের পেটে গুলি করে মারাত্মক জখম করে। এরপর পাঁচ নং আসামী নাজিম উদ্দিন মিকনসহ তাদের সমর্থকরা আলা উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে ছয় নং আসামী মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন তার হাতে থাকা লোহার রড আলা উদ্দিনের পেটের মধ্যে ডুকিয়ে দেয়। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে আলা উদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করে সাদা পোষাকের পুলিশ। প্রথমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের মিজানুর রহমান বাদলের গ্রেপ্তারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তবে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেন এসপি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নামের এক সিএনজি চালক নিহত হয়। হাসপাতালে এসে নিহত আলা উদ্দিনকে নিজের সমর্থক দাবী করেন মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশ’সহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।