Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

বাদলের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০২১, ৫:১৭ পিএম

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু’পক্ষের মধ্যে চলমান বিরোধ ও সহিংসতায় সিএনজি চালক আলা উদ্দিন নিহতের ঘটনার তৃতীয় দিনেও সর্তক অবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পৌর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭টি ককটেল ও ২৫টি লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে আলা উদ্দিন ও আ.লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এনে বাদীগণ থানায় বসে থাকলেও তা এখনও নথিভুক্ত করেনি পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান বাদলকে চাপরাশীরহাট পূর্ব বাজারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, বসুরহাট রূপালী চত্বর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭টি ককটেল ও ২৫টি গাবের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসময় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এদিকে, বসুরহাট পৌর ভবনে হামলার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভার কর্মচারী নূর নবী বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামী করে ৯৯জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২৫০-৩০০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে মঙ্গলবারের সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশা চালক আলা উদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার ছোট ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলেও পরবর্তীতে আবেদনে সংশোধন হবে বলে আবেদনটি জমা নেয়নি পুলিশ। আবেদনটিতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাসিককে আসামী করা হয়েছে।

মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামী মির্জা কাদেরের নেতৃত্বে অন্য আসামীরা পিস্তল, শর্টগান, পাইপগান, রামদা, লোহার রড নিয়ে অর্ধশতাধিক ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং প্রতিবাদ সভায় হামলা চালায়। এসময় মামলার চার নং আসামী নাজিম উদ্দিন বাদল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলা উদ্দিনের পেটে গুলি করে মারাত্মক জখম করে। এরপর পাঁচ নং আসামী নাজিম উদ্দিন মিকনসহ তাদের সমর্থকরা আলা উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরে ছয় নং আসামী মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন তার হাতে থাকা লোহার রড আলা উদ্দিনের পেটের মধ্যে ডুকিয়ে দেয়। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে আলা উদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকার রেডক্রিসেন্ট ভবনের সামনে থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করে সাদা পোষাকের পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নামের এক সিএনজি চালক নিহত হয়। হাসপাতালে এসে নিহত আলা উদ্দিনকে নিজের সমর্থক দাবী করেন মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশ’সহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নোয়াখালী

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ