পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকার অবৈধ বলে জনগণকে তারা ভয় পায়। জনগণ যদি জেগে উঠে তাহলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তাইতো সমাবেশের অনুমতি দেয় না, দিলেও চতুর্দিক বন্ধ করে রাখে যাতে জনগণ ও নেতাকর্মীরা আসতে না পারে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। তবে এসব করেও শেষ রক্ষা হবে না। কোনো স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারেনি। এ অবৈধ সরকারেরও শিগগিরই পতন ঘটবে। তাই সাহস নিয়ে সবাইকে রাজপথে বেরিয়ে আসতে হবে। এই অন্ধকার ও স্বৈরাচারকে দূর করতে হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং বিএনপির আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা দেখেছেন কার্টুনিস্ট কিশোরকে কী নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, মুশতাক আহমেদ কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি সাবাস দিতে চাই কার্টুনিস্ট কিশোরকে যে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে সে মামলা করেছে। এই সাহস নিয়ে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই অন্ধকার ও স্বৈরাচারকে দূর করতে হবে। আমাদের সোচ্চার হতে হবে। এই আইনে গ্রেফতার করা বিএনপিসহ দেশের সকল মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।
অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করুন। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে গায়েবি মামলা করেছেন তা প্রত্যাহার করুন। সবগুলো মামলা তুলে নিতে হবে, প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের যে নির্বাচন কমিশন রয়েছে তারা জাতীয় সব নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। সবাইকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমি সরকারকে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করার দাবি জানাই এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট দানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আপনারা জানেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কেন্দ্র করে আজ সমস্ত বাংলাদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়। জনগণের সরকার নয়। তারা রাষ্ট্র ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বেআইনিভাবে ভোটের আগের রাতে ভোট কেড়ে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এই দখলদারির সরকার শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিদ আঞ্জু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।