পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে শুধু সরকার নয় দেশের সকল নাগরিক এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করেই এগিয়ে যেতে হবে। একই সাথে সকল জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সিপিডি এবং অক্সফাম আয়োজিত গণতান্ত্রিক সুশাসনের জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক শাসন ও স্থানীয় উন্নয়ন তৃণমূল প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা শীর্ষক ‘নাগরিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। দেশকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে নিতে হলে সাধারণ মানুষসহ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ এবং নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই শেখ হাসিনার সরকারের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের সময় মাথাপিছু ছিল ৮৪ ডলার। বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছরে মাথাপিছু আয় ৮৪ ডলার থেকে ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন।
তিনি আরও বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘ ২১ বছর অর্থাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় আসীন ছিলেন তারা দেশের মাথাপিছু আয় ৩২৯ ডলারে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকায় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার কারণে মাথাপিছু আয় এখন ২১ শত ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হলে মাথাপিছু আয় দরকার হবে সাড়ে ১২ হাজার ডলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মধ্যে এখন একটি সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক সূচকসহ অন্যান্য সূচকে এ অঞ্চলে উদীয়মান রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা প্রণীত পথ নকশা অনুযায়ী উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সম্মেলনে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বাংলাদেশের যুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর অফ ডক্টর দীপঙ্কর দত্ত এবং সিপিডির প্রধান গবেষক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।