মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আক্রান্ত’ হওয়ার ঘটনাকে ‘নাটক’ আখ্যা দিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মানুষ এসব নাটক দেখে অভ্যস্ত। তবে নাটকের এই সবে শুরু। এর পর আরো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটানো হতে পারে ভোটের মুখে।’ বুধবার রাতে আহত হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তাকে চার-পাঁচ জন ব্যক্তি মিলে ধাক্কা দেয়। এর নেপথ্যে বিজেপির চক্রান্ত এমনটাও অভিযোগ করা হয়। দিলীপের বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী আহত হয়েছেন। ওনার দ্রæত আরোগ্য কামনা করি। জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকলেও কী করে মুখ্যমন্ত্রীকে কেউ ধাক্কা দিল? এর প‚র্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি করছি। রাজ্য পুলিশ কি অকর্মণ্য হয়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমেও কিন্তু কোনো ছবি নেই।’ ঘটনাকে ‘নাটক’ হিসেবে বর্ণনা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি ওনার গাড়ির ড্রাইভার রাস্তার পাশে একটি খুঁটিতে ধাক্কা মেরেছে। তখনই ওনার পায়ে লাগে।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর জানায়। অপর এক খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নামে কোনো স্থাবর সম্পত্তি বা বাড়ি নেই। এছাড়া তার নিজের কোনো গাড়িও নেই। শুধু তাই নয়, তার হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ এক লাখেরও কম। বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হলদিয়ায় মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানে দেয়া তার হলফনামা থেকে সম্পত্তির পরিমাণ জানা যায় বলে খবর প্রকাশ করে আনন্দবাজার। তৃণমূল এই নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। মমতা হলফনামায় জানান, তার হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ৬৯ হাজার ২৫৫ টাকা। এছাড়া কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট ধরে তার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৩৫২ টাকা ৭১ পয়সা। ওই অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ৯ গ্রাম ৭৫০ মিলিগ্রাম অলঙ্কার। এছাড়া তার নামে কোনো গাড়ি নেই। নেই চাষযোগ্য জমি অথবা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য কোনো স্থান। পৈতৃক স‚ত্রে তিনি কোনো সম্পত্তির মালিকও হননি। ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে তার ঋণ নেই। হলফনামায় আরও বলা হয়, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে তার বার্ষিক আয় ছিল ২০ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা। এটাই হচ্ছে তার সর্বোচ্চ আয়। এরপর ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে মমতার বার্ষিক আয় হয় ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭০ টাকা। ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজ থেকে আইনে স্নাতক পাস করেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়। তার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস,এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।